বাংলা হান্ট ডেস্ক: সদ্য সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, ওরফে একসাথে শোভন-বৈশাখী। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দু’সপ্তাহও কাটেনি, এরই মধ্যে অন্যমত প্রকাশ করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে বিজেপি ছাড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন শোভন বৈশাখী। জানা গেছে, বৈশাখীকে শোভনের সমমর্যাদার পদ না দিতে চায়না বিজেপি। এতেই বাধে মনোমালিন্য। এর সঙ্গে দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। কিন্তু শোভন-বৈশাখী ঘোর আপত্তি রয়েছে দেবশ্রীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখীর চাপে পড়েই দেবশ্রীকে নিয়ে দ্বিমত পোষণ শোভনের। কিন্তু এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সোজাসুজি জানিয়েছেন, ‘ব্যক্তির আগে দল। কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত মতানৈক্য থাকতেই পারে, কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’
জানা গেছে শোভন চট্টোপাধ্যায় কে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছে বিজেপি। কিন্তু এখানেই সমস্যা বৈশাখীর, তিনিও শোভনের মতনই সমমর্যাদা পেতে চান। অধ্যাপিকা জানিয়েছেন শোভনের মতনই পদ চাই ওনার। কিন্তু তাঁঁকে শোভনের সমমর্যাদাসম্পন্ন পদ দিতে আপত্তি রয়েছে বিজেপির।
গেরুয়া শিবির যুক্তি সহকারে জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই আনকোরা। তাঁর মতো অধ্যাপক-অধ্যাপিকার অভাব নেই বিজেপি তে। প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ পথেঘাটে নেমে কাজ করছেন। বৈশাখীও তেমনটা করুন। তাঁকে তো আগে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।’
বিগত ১৪ই অগাস্ট বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন-বৈশাখী। ২৮ অগাস্ট সন্ধেয় কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কলকাতার বাড়িতে গিয়ে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন দু’জনে। বৈশাখীর আচরণে রীতিমতো তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য বিজেপি।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় স্পষ্ট জানান, ‘বৈশাখীর আপত্তি মানা হবে না। দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হবে।’ শুধু তাই নয় কৈলাস স্পষ্ট জানান দেন, বৈশাখী কে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। এ ঘটনার পরেই বিজেপি থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার প্রাক্তন মেয়র জানিয়ে দেন, ‘বৈশাখীর অপমান সহ্য করবেন না তিনি। আর দেবশ্রীকে নিয়ে তাঁরও আপত্তি রয়েছে।’