বৈশাখী, মমতার সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন কেমন? খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন শোভন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : উৎসবের মৌসুমে খোলাখুলি আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন শোভন বৈশাখী। অষ্টমী সকালে বেশ ফুরফুরে মেজাজে যুগল। সংবাদমাধ্যমের সাথে ভাগাভাগি করে নিলেন তাদের সম্পর্কের রসায়ন। রাজ্য রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে প্রেম চলছিল ভালোই এবং সেই নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে চর্চা ও চলছিল জোরদার। “কুছ তো লোগ কাহেঙ্গে” – এদিকেই জীবনের চলার পথে উপরে এগিয়ে চলেছিলেন শোভন-বৈশাখী। তারপর হঠাৎই তৃণমূল থেকে সরে এসে পদ্ম শিবিরে পদার্পণ করেন শোভন।

যখন তিনি ঘাসফুলে ছিলেন তখন বাংলার জননেত্রী অত্যন্ত স্নেহ করতেন শোভনকে। কিন্তু দলবদলের সাথে সাথে কি সম্পর্কেও ছেদ পড়েছে? বাংলার দিদির সাথে ঠিক কেমন সম্পর্ক বর্তমানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের? এই প্রশ্নের খোলাখুলি উত্তর দিলেন শোভন। তার অবাক করে দেওয়া মন্তব্য , “বন থেকে বাঘকে তুলে আনা যায় কিন্তু বাঘের মন থেকে কি বনকে মুছে ফেলা যায়?”

শোভনের উপমাশ্রিত এই অনন্য উত্তর সত্যিই প্রশংসনীয়। তারপর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমান সম্পর্ক ঠিক কেমন তা জানতে যাওয়া হয়েছিল। অষ্টমী সকালে শোভন এতই ফুরফুরে মেজাজের ছিলেন যে এই প্রশ্নে সামান্যতমও বিচলিত হননি তিনি। বরং বেশ উচ্ছলভাবে জবাব দেন, ” একেবারে মেড ফর ইচ আদার।” কিন্তু তৎক্ষণাৎ বৈশাখী শোভন কে থামিয়ে দিয়ে তার ভুল শুধরে দেন। বৈশাখী বলেন , ” না না, মেড ফর ইচ আদার নয় , ম্যাড ফর ইচ আদার” এবং বলার সঙ্গে সঙ্গেই হেসে ওঠেন দুজনে। বৈশাখী আরো বলেন, ” যখন আমরা চ্যাটে কথা বলতাম, শোভন বলতো উই আর মেড ফর ইচ আদার। তখন আমি ওকে বলতাম, না উই আর ম্যাড ফর ইচ আদার। আমাদের সম্পর্কে রসায়ন ঠিক এতটাই গভীর।”

sovan boisakhi 6

শোভন এবং বৈশাখী দুইজনেরই মতে , সময়ের সাথে সাথে দুটি মানুষের মধ্যে সম্পর্কে ধীরে ধীরে মরচে পড়তে থাকে। ফিকে হতে থাকে সম্পর্কের রং। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে তা হয়নি। বরং উল্টোটাই ঘটেছে। সময়ের সাথে সাথে আরো গাঢ় হয়েছে তাদের সম্পর্ক। যত বেশি সমালোচিত হয়েছেন তারা, যত বেশি তারা সম্মুখীন হয়েছেন নানান প্রতিকূলতার , ঠিক ততটাই বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে একে অপরকে। শক্ত করেছেন দুজনের হাতের বন্ধন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর