বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিজেপির (bjp) উপর বেজায় ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন শোভন (Sovan Chatterjee) -বৈশাখী (Baisakhi Banerjee)। এমনকি বিজেপি নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েছিলেন পদত্যাগপত্রও। এবার ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির ভরাডুবিতে কার্যত দলের তুলোধোনা করে পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপি চমকপ্রদ ফল করায় দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী জুটি। বিজেপিতে যোগ দেবার পর থেকেই তুলোধোনা করেছিলেন তৃণমূল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির। কিন্তু একুশের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট না পাওয়ার পরই দলের প্রতি ক্ষুব্ধ হন শোভন-বৈশাখী। এরপরই তৃণমূলের জয়লাভের পর উল্টো সুর শোনা গেল তাঁদের গলায়।
তৃণমূল গোটা রাজ্যে জয়লাভ করলেও, নন্দীগ্রামে জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তবে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েই কারছুপির অভিযোগ করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘সব জায়গায়তে একরকম হল, আর এক জায়গায় অন্যরকম! ৮ হাজার থেকে নেমে গিয়ে ০ হয়ে গেল? ওখানে ৪০ মিনিট কারেন্ট ছিল না, তারউপর ৪ ঘণ্টা সার্ভার ডাউন করে রেখেছিল, মেশিনও পাল্টেছে। আবার কাউন্টিং করা হোক’।
তৃণমূলনেত্রীর এই অভিযোগে তাঁর পক্ষেই সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়, তাঁর কথায়, ‘আমার এই সন্দেহ হয়েছে। প্রথমে বলা হল মমতা ব্যানার্জি জিতেছেন, তারপর বলা হল শুভেন্দু জয়ী। কনফিউশন থেকে যাচ্ছে’।
এখানেই শেষ নয়। মমতা ব্যানার্জির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জিকে অভিনন্দ জানাই, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটনা। মমতা ব্যানার্জিকে বেগম বলা। অশালীন উক্তি করা, একদমই ঠিক হয়নি’।
একই সুর শোনা গেল বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘কুর্ণিশ জানাই মমতা ব্যানার্জিকে। হুইলচেয়ারে করেও যেভাব তিনি প্রভারে গিয়েছেন, তাঁর জন্য কুর্নিশ। এতদিন থেকেও বিজেপির থেকে কিছুই পাইনি আমরা। এমনকি শোভনের সিকিওরিটিও দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি’।