বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা এককালের হেভিওয়েট নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovan Chatterjee) নিজের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে বেনজির আক্রমণ শানিয়েছেন তারই ছেলে ঋষি চট্টোপাধ্যায় (Rishi Chatterjee)। আর সেই নিয়েই এখন জোর চৰ্চা সর্বত্র। তবে কেন হঠাৎ এভাবে বাবার উপর ঝাঁঝিয়ে উঠলেন ঋষি! এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন তিনি।
দিন কয়েক আগেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee and Sovan Chatterjee) তুমুল ঝামেলার ঘটনা। গত শনিবার নিজেদের বিবাহবিচ্ছেদ মামলার (Divorce Case) শুনানিতে আদালত চত্বরে গিয়েই বিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন শোভন- রত্না। সেই বিবাদের জেরেই বাবাকে আক্রমণ করে হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস দেন ঋষি।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে আমার বাবার কোনও সম্পর্ক নেই। বাবা চাননি সম্পর্ক থাকুক৷ ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ কোনও কারণ ছাড়াই বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান৷ তিনি মিডিয়াকে বলে বেড়ায় তার স্ত্রী অন্য জনের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। কিন্তু পাড়া প্রতিবেশীরা তো জানতেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় কী করতেন৷ তিনি, কত রাতে বাড়ি ঢুকতেন। আর মা রাত্রে জেগে বসে থাকতেন, বাবার অপেক্ষায়।”
ঋষির কথায়, “কখনোই মায়ের সঙ্গে বাবার সম্পর্ক খারাপ ছিল না। হঠাৎ কী হল জানি না। উনি কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে আমার ধারণা। বাড়ি ছাড়ার পর তিনি মিডিয়াকে বলেন, উনি আমার মায়ের কারণে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। আর মিডিয়ার একাংশ তাকে হিরো বলে আর মা- কে ভিলেন বলে প্রচার করতে শুরু করল। অথচ আমাদের রাস্তাঘাটে, কোনও ক্যাফেতে বসলেও লোকজন বলে, ওই দেখ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে। ওর মা অমুক বাবা তমুক৷ প্ৰথম দিকে খারাপ লাগত। এখন আর লাগে না।”
ঋষি আরও বলেন, “আমি তো এখন বাবার মুখটাও মনে রাখতে পারি না। যখন মিডিয়াতে দেখি, তখনই শুধু মনে পড়ে৷ তবে আমিও তো ছেলে৷ মাঝে মাঝে তার শরীর নিয়ে চিন্তা হয়। তার অন্য মহিলার সঙ্গে থাকা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কারণ, এটা ববার সিদ্ধান্ত। তবে আমার মাকে অপমান করে তিনি খারাপ করেছেন। ”
এরপরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে পুত্র ঋষি বলেন, “আমার মায়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ কিন্তু ওর নিজের চরিত্রেরই ঠিক নেই। বাবা এখন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) সঙ্গে আছেন। কে বলতে পারে যে, বৈশাখীর আড়ালেও বাবা অন্য কারও সাথে সম্পর্ক রাখেননি? যিনি নিজের স্ত্রীকে ছেড়ে এভাবে অন্য মহিলার সঙ্গে থাকতে পারেন, তার পক্ষে সবই সম্ভব৷ বাবার চরিত্রের ঠিক নেই, বৈশাখীর আড়ালেও অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক তিনি রাখতেই পারেন। আমি এটা নিশ্চিত করে বলছি না। আমার সন্দেহ হয়।”