বৈশাখী কন্যাকে দিতে চান নিজের নাম! নিজের ছেলেমেয়ের খোঁজ নেন? সাক্ষাৎকারে অকপট শোভন

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর বহুল পরিচিতি। তবে বর্তমানে অবশ্য প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরেই থাকেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, কলকাতার একদা মেয়রকে রাজনীতির ময়দানে তেমন দেখা যায় না। তবে গত কয়েক বছরে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কারণে বহুবার শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।

স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) সঙ্গে বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baisakhi Banerjee) সঙ্গে প্রেম, সবকিছু নিয়েই বিস্তর চর্চা হয়েছে। গত প্রায় আধ দশক ধরে নিজের সন্তানদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই শোভনের। রত্না এবং শোভনের দুই ছেলেমেয়ে, সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় ও সুহানি চট্টোপাধ্যায়। যদিও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কথায়, তাঁর তিন সন্তান। তৃতীয় সন্তান যে বৈশাখী কন্যা মহুল তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

রবিবার যখন কমবেশি প্রত্যেকে পিতৃ দিবস উদযাপনে মত্ত, তখন শোভন ফিরে দেখলেন বাবা হওয়ার আনন্দ, দায়িত্ব, যন্ত্রণাগুলোকে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘(পিতৃত্বের) যন্ত্রণা সহজে বোঝা যায় না। দেখা তো যায়ই না’। বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল সপ্তর্ষি-সুহানির সঙ্গে যোগাযোগ নেই শোভনের। তবে মহুল অন্ত প্রাণ তিনি। দু’জন দু’জনকে দুষ্টু বলে সম্বোধন করেন। এখনও ‘বাবা’ বলে না ডাকলেও শোভন চান মহুলও একদিন তাঁর নামের পাশে ‘চট্টোপাধ্যায়’ পদবীটাই ব্যবহার করুক।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যের সরকারি চাকরিতে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য সংরক্ষণ! কত শতাংশ আসন? বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের

বৈশাখী কন্যা বর্তমানে ষষ্ট শ্রেণির ছাত্রী। তাঁর সবদিকে নজর থাকে শোভনের। কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের কথায়, ‘মহুলের উপস্থিতি অনেক না পাওয়া কিংবা অনেক সমস্যাকে সামলে দেয়’। মহুল বর্তমানে বন্দ্যোপাধ্যায় পদবী ব্যবহার করলেও, শোভনের ইচ্ছা সপ্তর্ষি আর সুহানির মতো সে-ও একদিন পদবী হিসেবে চট্টোপাধ্যায় লিখুক। তাহলে কি রত্নার সঙ্গে ডিভোর্স হলেই চার হাত এক হবে শোভন-বৈশাখীর?

গত কয়েক বছরে রত্না-শোভনের দাম্পত্য জীবন নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েন হয়েছে। তাঁদের বিচ্ছেদে বরাবর মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে সপ্তর্ষি এবং সুহানি। মেয়ে কিছু না বললেও, ছেলেকে প্রকাশ্যেই শোভনকে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ছেলেমেয়েদের জড়ানো ঠিক নয়। ওরা জড়িয়ে গেল, এটাই খারাপ লাগে’।

Sovan Chatterjee Baisakhi Banerjee

ছেলে তোপ দাগলেও অবশ্য তা নিয়ে কোনও অভিমান নেই শোভনের। বরং তাঁর হাতের ট্যাটু নিয়ে বেশি ভাবিত তিনি! বৈশাখী জানান, শোভন ‘রক্ষণশীল বাবা’। ছেলেমেয়ে অন্ত প্রাণ তিনি। শোভন বান্ধবী বলেন, ‘দুনিয়ায় যাই হয়ে যাক না কেন, শোভনের কাছে ছেলেমেয়েরা একেবারে আলাদা। দরকার হলে সব কাজ ছেড়ে ওদের জন্য ছুটোছুটি করতে দেখেছি’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর