বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে দেবশ্রী শোভন ও বৈশাখী বিতর্ক কিছুতেই থামছে না৷ গত মাসেই তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিয়েই শোভন চট্টোপাধ্যায় যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে সঙ্গে নিয়েছেন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ যদিও তাঁদের বিজেপিতে যোগদানের পথটা অতটা সহজও ছিল না কারণ পদ্ম শিবিরে শোভন ও তাঁর বান্ধবীর কাঁটা হয়ে উঠেছিল দেবশ্রী৷ তাই তো দলে যোগদানের দিন সরাসরি শোভন জানিয়ে দিয়েছিলেন দেবশ্রীর সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে দলে কাজ করা সম্ভব নয়৷ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ না খুললেও অন্দরে এই নিয়ে জোর জল্পনা চলছিল৷ কিন্তু এ বার সেই দেবশ্রী রায়কে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরাসরি মুখ খুললেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ 14 আগস্ট বিজেপিতে শোভন ও বৈশাখীর যোগদানের দিন এক ঝলক সদর দফতরে দেখা গিয়েছিল দেবশ্রীকে৷
তিনি সেখানে কীভাবে পৌঁছলেন? তার হাত ধরেই বা গিয়েছিলেন? এই নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই৷ সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেবশ্রীর সদর দফতরে পৌঁছনো নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার কেই দুষলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি জানিয়েছেন দেবশ্রী রায়ের বিজেপি দফতরে পৌঁছনো থেকে মহুয়া মৈত্রের নাম জড়ানো পুরোটাই নাকি জয়প্রকাশের ষড়যন্ত্রের৷ পাশাপাশি এও জানিয়েছেন দিল্লিতে সে দিন একই বিমানে করেই জয় প্রকাশ ও দেবশ্রী পৌঁছেছিলেন৷ বৃহস্পতিবার দেবশ্রীকে নিয়ে দিলীপ ঘোষকে মহুয়া মৈত্রের ফোন করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন শোভন এবং এই ষড়যন্ত্রটা অনেক আগে থেকেই চলছিল বলে মনে হয়েছে তাঁর৷ তাই তিনি জানিয়েছেন বিজেপিতে যোগদানের কথাবার্তা চলার সময় থেকেই নাকি ষড়যন্ত্র হচ্ছিল৷
অন্যদিকে শোভনের আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার৷ তাঁর কাছে দেবশ্রী সম্পর্কে শোভন জানতে চাইলে বিষয়টিকে খোঁচা দিয়ে জয় প্রকাশ বলেছেন সত্যিটা জানতে হলে শোভনের দেবশ্রীর থেকেই জানা উচিত একই সঙ্গে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে তো তাঁর ব্যক্তিগত ভাবে কোনও পরিচয় নেই এবং কোনো দিন দেখা হয়নি বলেও দাবি করেছেন জয়প্রকাশ৷ পাশাপাশি সে দিন বিজেপির সব দফতরে শোভন ও বৈশাখীর পরেই নাকি দেবশ্রী পৌঁছেছিলেন বলে জানিয়েছেন৷
উল্লেখ্য শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মাত্র কুড়ি দিন হল কিন্তু এরই মধ্যে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই বার বার অবিশ্বাসের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন৷ যে তত্পরতা নিয়ে শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় সেই তত্পরতা কি আদৌ টিকবে তা দেখা সময়ের অপেক্ষা৷