বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কি হবে শোভনদেবের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ?

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? এই জল্পনার কারণ হল, গোটা রাজ্যে তৃণমূল একপেশে জিতলেও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছিলেন। তিনি হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। আর তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী কোন আসন থেকে লড়বেন আবার, সেটা নিয়েই জল্পনা চলছিল।

রাজ্যের দুটি আসনে এখনও নির্বাচন হয়নি। ওই দুটি আসন হল, মুর্শিদাবাদের সামশের গঞ্জ এবং জঙ্গিপুর। এছাড়াও খড়দহে তৃণমূল প্রার্থী জিতলেও, তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। সেই কারণে ওই কেন্দ্রে আবারও নির্বাচন হবে। আরেকদিকে, বিজেপির দিনহাটা আর শান্তিপুরের বিধায়ক নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই কারণে এই দুটি আসনেও নির্বাচন হওয়ার কথা।

অনেকেই ভেবেছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পাঁচটি আসনের মধ্যে কোথাও দাঁড়াবেন। সবার আগে নাম উঠে আসছিল খড়দহ কেন্দ্রের। কিন্তু আজ ভবানীপুরের বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করে বুঝিয়ে দিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই নির্বাচনে দাঁড়াবেন। এর আগেও ২০১১ সালে নিজের জয় করা আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন শোভনদেববাবু। সেবারও তিনি ভবানীপুর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন।

এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এবার তৃণমূলের প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কি হবে? অনেকের মতেই শোভনবাবুকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে। আরেকদিকে, রাজনৈতিক মহলে এও গুঞ্জন চলছে যে, শোভনদেববাবু হয়ত এবার বিধান পরিষদ হবেন। কিন্তু এরই মাঝে সুত্র থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, খড়দহ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

ওই আসনে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহা করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন। বাকি আসনগুলোর সঙ্গে ওই কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনেই প্রার্থী হতে পারেন শোভনদেববাবু। তবে তৃণমূল কি সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই দেখার বিষয়।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর