তাপস পালের শেষ ছবিতে কাঁথির শোভনের গলা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহানায়ক উত্তম কুমারের জীবনের শেষ ছবি ছিল ওগো বধূ সুন্দরী। তবে সেই ছবি শেষ করে যেতে পারেননি তিনি। ছবির শুটিং করতে করতেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন উত্তম কুমার। শেষে ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসেন তাঁর ভাই তরুণ কুমার। দাদার গলা হুবহু নকল করে সেই ছবি শেষ পর্যন্ত উতরে দেন তরুণ কুমার। এই যুগে শোভন কামিলাও কী কোনও দিন ভেবেছিলেন যে তরুণ কুমারের মতোই তাঁকেও একদিন এই কাজটিই করতে হবে? তবে এবার উত্তম কুমার নয়, তাঁর স্থানে রয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল। তাঁরই শেষ ছবি ‘বাঁশি’ তে তাপস পালের গলা ডাবিং করলেন শোভন।

Shovan insert

শোভন কামিলা মেদিনীপুরের কাঁথির ছেলে। দীর্ঘদিন ধরেই নাটকচর্চা করেন তিনি। বিভিন্ন টেলিভিশন শোতেও অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু তিনিই তাপস পালের গলার ডাবিং করতে হবে শুনে প্রথমে না বলে দিয়েছিলেন ভয়ে। প্রয়াত অভিনেতার সঙ্গে তাঁর গলা হুবহু মিলে যাবে সেটা ভাবতে পারেননি শোভন। কিন্তু যখন প্রস্তাবটা তাঁর কাছে এল তখন প্রথমে না বলেছিলেন তিনি, ভেবেছিলেন এমন প্রবাদপ্রতিম একজন অভিনেতার গলা নকল করতে পারবেন না ঠিকমতো। তারপর অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় ও খেয়ালি দস্তিদার তাঁকে সাহস যোগান।

Shovanparents

মুম্বই থেকে ফিরেই বাঁশির ডাবিং শেষ করার কথা ছিল তাপস পালের। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। তাই এই দায়িত্ব এসে পড়ে শোভনের কাঁধে। কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি? উত্তরে শোভন বলেন, “দাদার কীর্তি গুরুদক্ষিণা সব ছবিই দেখেছি তাপস পালের। ধরার চেষ্টা করেছি ওর কথা বলার ধরনধারন। অবশেষে কাজটা হয়। জানিনা কতটা কী করতে পেরেছি।” তিনি আরও জানান, এটা তাঁর জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা। হাতে চাঁদ পাওয়ার থেকে কম কিছু নয়।

কাঁথি হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন শোভন। তারপর কাঁথি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন। বাবা শিবশঙ্কর কামিলা প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই আর্থিক অনটনের মুখ দেখে বড় হয়েছেন। তারপর অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় পাড়ি দেন তিনি। শোভনের কথায়, ভাগ্যিস কলকাতায় এসেছিলেন। তাই তাপস পালের শেষ ছবির সঙ্গে এভাবে জুড়ে যেতে পারলেন।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর