বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বিকেলে ফলাফল ঘোষণার পর বিধান ভবনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কানপুরের প্রবীণ সমাজবাদী পার্টির নেতা নরেন্দ্র সিং ওরফে পিন্টু। আত্মহত্যার জন্য তিনি যখন নিজের শরীরে আগুন লাগান, সঙ্গে সঙ্গে তা দেখতে পায় পুলিশ। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যে আবারও ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার গঠনে দুঃখ পেয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা।
এসিপি হজরতগঞ্জ অখিলেশ সিং বলেন, কানপুর নগরের প্রবীণ সমাজবাদী পার্টির নেতা নরেন্দ্র সিং ওরফে পিন্টু চারটে নাগাদ বিধান ভবনের সামনে পৌঁছান। এরপর তিনি হঠাৎ নিজের গায়ে তেল ঢেলে দেন। তার পরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করেন।
ঘটনাটি পুলিশের নজরে পড়ে। এরপর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। পুলিশ জানায়, প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। পুলিশ জানিয়েছে, নরেন্দ্র কানপুরের সমাজবাদী পার্টির সহ-সভাপতি। হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন যে, বিজেপি আবার সরকার গঠন করায় তিনি শোকাহত।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা নির্বাচনের গণনা চলছে। আর এই গণনায় প্রথম থেকেই বিজেপি সরকার গঠনের প্রবণতা দেখে দিয়েছে। এরপর বিজেপির পার্টি অফিস ও বিধান ভবনের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। এত বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে সপা নেতার আত্মহত্যার চেষ্টা অনেক প্রশ্ন তুলছে। যদিও নরেন্দ্রকে বাঁচিয়েছে বলে পুলিশ নিজের পিঠ চাপড়াচ্ছে।