বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে আবারও তুমুল বিজয় নথিভুক্ত করেছে বিজেপি। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী লখনউয়ের চিনহাটের বাসিন্দা এক যুবক সমাজবাদী পার্টির পরাজয়ে বিষাক্ত পদার্থ খেয়েছেন। ব্যাপারটি জানাজানি হতেই পরিবারের সদস্যরা তাকে অবিলম্বে লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন, যেখানে তার অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ জানায়, চিনহাটের কামতার বাসিন্দা বিজয় যাদব ওরফে নরেন্দ্র (৪০) পরিবারের সঙ্গেই থাকেন। তিনি বিভূতিখণ্ডের অবোধ বাসস্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত পারিজাত অ্যাপার্টমেন্টের সামনে একটি চায়ের দোকান চালান
বুধবার নরেন্দ্র একটি ভিডিও ভাইরাল করেছিলেন, যেখানে তাঁকে বলতে দেখা গিয়েছিল যে, যদি ২০২২ সালে সমাজবাদী পার্টির সরকার গঠিত না হয় তবে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবেন। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পারিজাত অ্যাপার্টমেন্টের কাছে তিনি বিষাক্ত পদার্থ খান। রাস্তায় বিজয়কে কাতরাতে দেখে আশপাশের লোকজন বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানায়।
তার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে, বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে চায়ের দোকানে সময় দিচ্ছিল না নরেন্দ্র।
বিভূতিখণ্ডের ইনস্পেক্টরে মতে, ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই তাদের কাছে। হাসপাতাল থেকে জানা গিয়েছে যে, ওই যুবক বিষাক্ত পদার্থ পান করেছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে এটাই প্রথম ঘটনা না। এর আগেও বিজেপির জয়ে শোকাহত হয়ে সমাজবাদী পার্টির একজন নেতা বৃহস্পতিবার রাজধানী লখনউতে বিধান ভবনের বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই সমাজবাদী পার্টির নেতা কানপুর নগরের বাসিন্দা। নরেন্দ্র সিং ওরফে পিন্টু ঠাকুর ইউপি নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির পরাজয়ের পর বিধান ভবনের সামনে গিয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।