বাংলাহান্ট ডেস্ক : আপনি কি পাহাড়-সমুদ্র-জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত? চাইছেন স্বাদ বদল করতে? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বড় খবর। আপনিও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন মহাকাশ (Space) থেকে! সাধারণ মানুষের জন্যেও এবার খুলে দেওয়া হচ্ছে মহাকাশের দরজা। স্পেস এক্সের পোলারিস ডন মিশনের মাধ্যমে স্পেসওয়াক সম্প্রতি সারা পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবী থেকে ৭৩৭ কিলোমিটার উঁচুতে ড্রাগন ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে মহাকাশে হেঁটেচলে বেড়ানোর নিদারুণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা সম্ভব হয়েছে।
অন্তরীক্ষে ভ্রমণ (Space Walk)
তবে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য খরচও করতে হবে মোটা টাকা। স্পেস এক্সের একটি আসনের মূল্য ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৪৬১.৪১ কোটি টাকারও বেশি। মহাকাশে (Space) ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন হবে সঠিক প্রশিক্ষণ। এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করলে ভ্রমণকারীকে দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ, স্পেস স্যুট ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র। মহাকাশে স্পেসওয়াকের জন্য প্রয়োজন হবে ভ্রমণকারীর শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতার।
আরোও পড়ুন : এনামুল জামিন পেলেও কপাল খুলল না এই ‘রাঘব বোয়ালে’র! জেলেই থাকবেন, জানালেন বিচারক
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেই ব্যক্তিকে স্পেস ওয়াকের জন্য উপযুক্ত করে তোলা হবে। মহাকাশ ভ্রমণ ও স্পেস ওয়াকের জন্য খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয় প্রশিক্ষণের উপর। মহাকাশে (Space) চরম পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য শারীরিকভাবে সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ট্রেনিং দেওয়া হয়। এছাড়াও মহাকাশ ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বৃদ্ধির প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়ে থাকে। মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণহীন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সুইমিংপুল ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে।
NASA অথবা অন্যান্য মহাকাশ সংস্থার অনুমোদন রয়েছে এমন কাউকে মহাকাশ যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়। মহাকাশ (Space) ভ্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় শারীরিক ও মানসিক অবস্থাকে। বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগতভাবে যারা এগিয়ে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে এই ধরনের মহাকাশ ভ্রমণ অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। তবে যেভাবে বিজ্ঞানের অগ্রগতি ঘটছে, তাতে অনেকেই মনে করছেন আগামী দিনে অনেকটাই খরচ কমতে পারে মহাকাশ ভ্রমণের।