বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ‘গ্রুপ ই’-কে কেন গ্রূপ অফ ডেথ বলা হচ্ছিলো সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। সকল ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ২টি জয় নিয়ে গ্রূপের শীর্ষস্থানে অভিযান শেষ করলো। জার্মানিকে তারা হারিয়েছিল। এরপর কোস্তারিকার বিরুদ্ধে ভালো খেলেও হারতে হয়েছিল তাদের। এরপর বৃহস্পতিবার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আলভারো মোরাতা গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে জাপানের দুরন্ত কামব্যাক ও স্পেনকে দ্বিতীয় স্থানে সরিয়ে ম্যাচ জিতে প্রথম হয়ে ‘শেষ ১৬’-র টিকিট অর্জন করা।
অপরদিকে জার্মানি ম্যাচেও ঘটেছিল একইরকম ঘটনা। প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার পর ৫৮ মিনিটে কোস্তারিকার তেজদা গোল করে সমতা ফেরান। ৭০ মিনিটে পাবলো ভার্গাসের ছুঁয়ে দেওয়া বল জার্মান গোলরক্ষক ন্যূয়ারের গা ছুঁয়ে ঢুকে যায় গোলে। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছিল যে জার্মানি এবং স্পেন দুটি দলই ছিটকে যাবে গ্রুপ পর্ব থেকে। কিন্তু ৭৩ ও ৮৫ মিনিটে কাই হাভার্টজের জোড়া গোল এবং একদম শেষদিকে ফালক্রুগের গোলে ম্যাচ ৪-২ ফলে জিতে নেয় জার্মানি। স্পেন যদি কাম ব্যাক করতে পারতো তাদের মতো তাহলে তারাই নক-আউটে পৌঁছতে পারতো। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তবে নিজেরা পরের রাউন্ডে যেতে না পারলেও স্পেনকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেছেন জার্মানরা।
স্পেন ও জার্মানি সমান পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছে। কিন্তু কোস্তারিকার বিরুদ্ধে ৭ গোলে জয় পাওয়ার পুরস্কার স্বরূপ তাই জার্মানিকে টপকে পরের রাউন্ডের যোগ্যতাঅর্জন করেছে। স্পেন এখন ‘শেষ ১৬’তে মরক্কোর মুখোমুখি হবে। কাল অনেকেই স্পেন পিছিয়ে পড়ার পর ম্যাচে ফেরার যথেষ্ট চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ করেছে। অনেকে বলেছেন যাতে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে এড়ানো যায় সেই উদ্দেশ্যেই এমন রণনীতি নিয়েছিল স্পেন।
কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্পেনের অধিনায়ক সার্জিও বুস্কেতস। তিনি বলেছেন, “এর সাথে ব্রাজিলকে এড়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা জিততে চেয়েছিলাম এবং প্রথম হতে চেয়েছিলাম। এই হার কোনও গ্যারান্টি দেয় না যে আমাদের যাত্রা সহজ বা কঠিন হবে। আমরা চাইনি এটা ঘটুক, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জেতা। এখন মরক্কোর বিপক্ষে আমাদের রাউন্ড অফ সিক্সস্টিন ম্যাচ আছে, যা একটি খুব কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে।”
স্পেন তৃতীয় স্থানে নেমে যায় যখন ম্যানুয়েল নিউয়েরের নিজের গোলে আল বেত স্টেডিয়ামে জার্মানির বিপক্ষে কোস্টারিকা ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ফলাফল পরিবর্তন না হলে কোস্তারিকা দ্বিতীয় স্থানে থেকে যোগ্যতাঅর্জন করতো। কিন্তু তেমনটা হয়নি। এবার বড় দলগুলি যদি নিজেদের সুনাম বজায় রেখে খেলতে থাকে তাহলে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালের মুখোমুখি হতে পারে স্পেন।