ভারতের অর্থনীতি বৃদ্ধি দেখানোর জন্য সাপুড়ের ছবি ব্যবহার স্প্যানিশ মিডিয়ার, মিলল চরম প্রতিক্রিয়া

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাশ্চাত্যের মানুষের কাছে এক সময় ভারতবর্ষ মানে মহারাজা, সাজানো গোছানো হাতি ও সাপুড়ের দেশ বলেই পরিচিত ছিল। যদিও সেটা আসলে বিদ্বেষমূলক ভাবনা থেকেই। পরিস্থিতি বদলেছে। একইসঙ্গে পাল্টেছে ভারত নিয়ে ধারণাও। এখন ভারতকে দেখা হয় একটি আসন্ন ‘সুপার-পাওয়ার’ হিসেবে। ভারতের গুণগান করতে ব্যস্ত বিশ্বের তাবড় দেশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল জানিয়েছে, বিশ্বে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ভারত নিজেকে প্রমাণ করেছে। তবে এরই মধ্যে একটি বিতর্ক তৈরি করল স্পেনীয় একটি খবরের কাগজ।

ভারতের অর্থনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখে বিতর্কের সৃষ্টি করল স্পেনীয় খবরের কাগজ ‘লা ভানগার্দিয়া’। খবরের কাগজের প্রথমের পাতায় ভারতের অর্থনীতির একটি ছবি দিয়েছে তারা। খবরটির হেডলাইনে লেখা ‘এখন ভারতীয় অর্থনীতির সময়’। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক সাপুড়ে তার বাঁশি বাজিয়ে একটি সাপকে বের করেছে। ওই সাপই হচ্ছে অর্থনীতির গ্রাফ। টুইটারে ওই খবরের কাগজের ছবি শেয়ার করেছেন জিরোধা সংস্থার কর্ণধার নিতিন কামাথ। এই ছবি দেখে বেজায় চটেছেন নেটিজেনরা।

টুইটারে ওই স্পেনীয় খবরের কাগজের প্রতিবেদনের ছবি পোস্ট করে নিতিন কামাথ লেখেন, ‘এটি বেশ ভাল ব্যাপার যে বিশ্ব আমাদের অর্থনীতির উপর নজর দিচ্ছে। তবে যেভাবে ভারতবর্ষের সংস্কৃতিকে দেখানো হয়েছে, তা অত্যন্ত অপমানজনক। এটি বন্ধ হতে কী প্রয়োজন? হয়তো বিশ্বস্তরে ভারতীয় পণ্য?’

নিতিনের এই পোস্টে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। এক পক্ষ যেমন নিতিনের কথার সমর্থন করেছেন। ঠিক তেমনই অপর পক্ষের মতে, ভারতের সংস্কৃতির একটি অংশ হল সাপুড়েরা। ভারতকে এক সময় জাদুর দেশ বলত পশ্চিমীরা। সাপুড়ে সেই জাদুকেই বোঝায়। তাই এক্ষেত্রে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলেই নিজেদের মতামত স্পষ্ট করেছেন অপর পক্ষ।

বিশিষ্ট কবি প্রিতীশ নন্দীও এই বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আপনি যদি কোনও কিছুকে অপমান হিসেবে না নেন, তাহলে সেটি আসলে অপমান নয়। আপনি অত্যাধিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলেছেন। এটি ভারতের প্রতি একটি সমর্থন। গোটা বিশ্বে জাদু বোঝাতে সাপুড়ের ছবি ব্যবহৃত হয়। তাই স্পেনীয় সংবাদমাধ্যমটি ভারতকে জাদুকরী হিসেবে দেখছে। সব কিছুতে ভাবাবেগে আঘাত আনা বন্ধ করুন।’

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর