বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল বঙ্গ। গতবছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে একের পর এক নাম উঠে এসেছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের। বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের বহু জনা। যা নিয়ে যথেষ্টই অস্বস্তিতে শাসকদল। এরই মধ্যে সেই অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়িয়ে নাম জুড়েছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha)।
বর্তমানে দুর্নীতির অভিযুক্তদের তালিকায় নবতম সংযোজন তিনি। বিধায়কের গ্রেফতারির পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সবটা বিজেপির চক্রান্ত, এমনটাও অভিযোগ করেছে শাসকদলের কেউ কেউ। এরই মধ্যে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকার (Speaker) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, নিয়ম মানেনি সিবিআই (CBI)। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
ঠিক কী বললেন অধ্যক্ষ? এদিন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিধানসভার একটা আইন রয়েছে। সিবিআই সেটাকে ভঙ্গ করে চলেছে। আমরা বারবার বলেছি, বিধায়কদের ক্ষেত্রে বিধানসভাকে ছুঁয়ে যেতে হবে। কিন্তু বিধায়ককে গ্রেফতার করা হলেও তদন্তকারী সংস্থা তরফে সঠিক সময়ে তা জানানো হয়নি। সিবিআইয়ের এই ভূমিকায় আমি স্তম্ভিত।”
তার কথায়, “দুমদাম চাইলেই বিধায়কের বাড়ি যাওয়া যায় না। গ্রেফতার করা যায় না।” এ বিষয়ে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, বহু টালবাহানা ও টানা ৬৫ ঘণ্টা জেরার পর সোমবার ভোরে তার নিজের বাড়ি থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেন সিবিআই আধিকারিকরা।
তবে সোমবার জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করা হলেও সে বিষয়ে বিধানসভাকে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভায় দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। অর্থাৎ বিধায়ক গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টাও বেশি সময় পর জানানো হয় বিধানসভায়। পরদিন চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়। সিবিআই এর এহেন কর্মকান্ডেই রেগে বোম স্পিকার মহাশয়।