আগামীকাল ক্যাবিনেটের ক্রুসিয়াল বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, হবে 35A বিলুপ্তি নিয়ে আলোচনা।

বিজেপির পার্টির হোক বা বিরোধী , একটা কথা সবাই মানে যে, মোদী মনে যেটা ঠিক করে সেটা করেই ছাড়েন, তার সিদ্ধান্ত থেকে কখনো উনি পিছনে সরে আসে না। এটি মোদি সরকারের রোড ম্যাপ এবং মোদিকে যারা চেনে তারা এটা ভালো করেই জানে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর আরো একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো উনি হটাৎ করেই সবকিছু করেন আর যেটা করেন তা সকলকে অবাক করে। কাশ্মীরের উত্তপ্ত অবস্থার মধ্যে বড়ো খবর সামনে এসেছে।  নরেন্দ্র মোদি ৫ আগস্ট সকালে ক্রুসিয়াল ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছে বলে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ভারতীয় জনতা পার্টি নিজের সব সাংসদদের সংসদে থাকার নির্দেশ জারি করেছে। বিজেপি ৫ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে হুইপ জারী করেছে।

images 2019 08 04T151046.332

মোদি সরকার কি পদক্ষেপ নেবে তা যেহুত বোঝা মুশকিল অনেকে অনেক রকমের মত প্রকাশ করেছে। কেউ বলছে হতে পারে মোদি  সরকার রাষ্ট্রপতিকে এটা বলতে পারে যে ধারা 370 ও 35A কে সরিয়ে দিতে, এই ধারা গুলি সরানোর কথা ওঠায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের থেকে ভারতকে অনেক হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া কেউ আবার বলছে যে হতে পারে প্রধানমন্ত্রী মোদী জম্মুকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করে দিয়ে এবং কাশ্মীর ও লাদাখকে কেন্দ্র শাসিত প্রদেশ করে দিতে পারেন। কিংবা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নতুন কোনো পদক্ষেপও নিতে পারে।
কিন্তু যেমনটি আমরা আগেও বলেছি যে সরকার কি পদক্ষেপ নেবে তা শুধু অনুমান করা যেতে পারে কিন্তু আসলে কি হতে চলেছে তা সময়েই বলে দেবে।

কিন্তু খবর সামনে এসেছে যে কাশ্মীর থেকে সব টুরিস্ট, অমরনাথ যাত্রী, পর্যটক এবং কাশ্মীরে পড়া বাইরের ছাত্ররা আজকের মধ্যে কাশ্মীরে থেকে বাইরে সুরক্ষিত স্থানের পৌঁছে দেওয়া হবে। অমরনাথ যাত্রী এবং বাকিদের সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বায়ুসেনার C-17 বিমানকে ডাকা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা ANI এর অনুযায়ী, জম্মু কাশ্মীর প্রশাসন ভারতীয় সেনার কাছে তাঁদের C-17 বিমানের মাধ্যমে অমরনাথ যাত্রীদের শ্রীনগর থেকে পাঠানকোট, দিল্লী আর জম্মুর যেকোন স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। C-17 বিমানটি একসাথে ২৩০ জনকে নিয়ে যেতে পারবে। এবং এর পরেই হবে ক্যাবিনেটের ক্রুসিয়াল  বৈঠক ও বিজেপি সাংসদদের হুইপ। বলা হচ্ছে যে ৫ থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে অনেক কিছু হতে চলেছে।

সম্পর্কিত খবর