বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বড় সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal)। এবার নবান্ন থেকে নজর থাকবে গোটা বাংলায়। সেই কারণে নবান্নের পাশেই একটি বিশেষ মনিটরিং রুম (Monitoring Room) তৈরি করা হচ্ছে। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগেই তা চালু করা হবে বলে খবর।
নবান্নের পাশেই তৈরি হচ্ছে মনিটরিং রুম (Government of West Bengal)!
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের নানান প্রান্তে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্থানীয় থানা থেকেই সেগুলিতে নজরদারি চালানো হয়। তবে এবার থেকে নবান্ন (Nabanna) থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পূর্ণ বিষয়ে নজর রাখা হবে। সেই কারণে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ কক্ষ। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।
রাজ্যের নানান ঘটনা বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য জেলার থানাগুলি থেকে নবান্ন রিপোর্ট তলব করে। সেক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হল সিসিটিভি। এছাড়া বহুক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণের জন্যেও আদালতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পেশ করা হয়। তবে এবার সম্পূর্ণ রাজ্যের সকল সিসিটিভি ফুটেজ মনিটর করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটর রুম তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার (Government of West Bengal)। নবান্নে পাশেই এই কক্ষ তৈরি করা হবে বলে খবর। ওয়েবেল ও আরও দু’টি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই মনিটরিং রুম বানানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ একটু সময় চেয়ে নিলেন বিচারপতিরা! জামিন পাচ্ছেন পার্থ? সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে যা হল…
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের তত্ত্বাবধানে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশের একজন পদস্থ আধিকারিক বলেন, চুরি, ডাকাতি সহ যে কোনও ধরণের অপরাধের ক্ষেত্রে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। এর দায়িত্বে থাকে জেলা পুলিশ। তবে এবার এই ব্যবস্থাকে আরও পোক্ত করতে নবান্নের পাশে মনিটরিং রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্ন থেকে যাতে বাংলার যে কোনও প্রান্তে নজর রাখা যায়, সেই কারণে সরকারের (Government of West Bengal) এই উদ্যোগ বলে খবর।
তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে। কারণে শহুরে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও গ্রামীণ এলাকায় এখনও সিসিটিভি লাগানো হয়নি। বহু জায়গায় আবার ক্যামেরা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে নবান্নের পাশে বিশেষ মনিটরিং রুম তৈরি হলে সেগুলি চটজলদি সারাতে হবে। রিপোর্ট বলছে, ২০২৬ সালের আগেই এই ‘নজরদারি কক্ষ’ চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।