বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার মুকুটে এক নতুন পালক। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এক দুর্দান্ত সাফল্যের চিহ্ন হিসেবে ফিকি হেলথ কেয়ার এক্সেলেন্স পুরষ্কার পেল বাংলা। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার নিরিখে যে উন্নতির শুরু হয়েছিল, বলা বাহুল্য তা আরোও খানিকটা তরান্বিত হল। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের হাতে তিনটি জাতীয় পুরষ্কার এসেছে। ইতিমধ্যেই “Mamata Banerjee Supporters (FAM)” নামের একটি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে বহুক্ষেত্রেই ভুরি ভুরি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেই নয়, এমনকি রোগীদের যথাযথ পরিষেবা দিতে না পারার প্রসঙ্গেও বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। তবে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিস্থিতির বেশ খানিকটা বদল ঘটে। বঙ্গের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে হাজারো অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও এবার সেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একেবারে প্রথম পুরষ্কার পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। স্বাভাবিকভাবে এই জাতীয় পুরষ্কার বাংলার সরকারের কাছে গর্বের ব্যাপার।
সূত্রের খবর, টেলি মেডিসিন ও টেলি ব্রেন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্টের নিরিখে দেশের বণিকসভা বাংলাকে বিশেষভাবে সম্মানিত করছে। আসলে করোনাকালীন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থাকে দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যে টেলি মেডিসিনের বন্দোবস্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার করেছিল তা এককথায় অভূতপূর্ব। অন্যদিকে টেলি ব্রেন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প।
পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বহু মানুষের স্বার্থসিদ্ধির কথা মাথায় রেখেই সরকার টেলিমিডিসিনের ব্যবস্থাকে চালু রেখেছিল। এবার সেই উদ্যোগকেই স্বীকৃতি দিল জাতীয়স্তরের বণিকসভা। এছাড়াও, টেলি ব্রেন স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণেই ফিকির উদ্যোগে এই দুই প্রকল্পের জন্য বাংলার ঘরে এল জাতীয় সম্মান।