বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বেআইনিভাবে চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠনের বিরুদ্ধে। আগামী ২৭ ও ২৮শে জানুয়ারি জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদি, মাদ্রাসা এবং শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলির ৪০ তম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
ধূপগুড়ি ৩ নম্বর, ধূপগুড়ি ৪ নম্বর এবং ধূপগুড়ি পশ্চিম মন্ডলের উদ্যোগে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ধূপগুড়ি পৌর ফুটবল ময়দানে। অন্যান্য বারের মতো এবারও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার যাবতীয় খরচ বহন করছে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। এরই সাথে নির্দেশ রয়েছে এই ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য কোনোরকম চাঁদা তোলা যাবেনা।
আরোও পড়ুন : রেকর্ড লেট রাজধানীর! রাস্তায় কাটল দু রাত, অবশেষে এত ঘণ্টা দেরিতে শিয়ালদা পৌঁছল ট্রেন
তবে অভিযোগ তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ভয় ভীতি প্রদর্শন করে শিক্ষকদের থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা এবং অস্থায়ী শিক্ষক শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধী শিক্ষক সমিতিগুলি।
আরোও পড়ুন: BJP-তে যোগদান করতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু! শাহি-সভাতেই বড় চমক? চর্চা তুঙ্গে
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গেছে শিক্ষক মহলে। রাজ্যের শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূলের শিক্ষক সমিতির একাংশ এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে। বিজেপি প্রভাবিত বঙ্গীয় নব উন্মেষ প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের জেলা সম্পাদক জয়ন্ত করের কথায়, সরকারি অর্থেই চিরকাল আয়োজিত হয়ে আসছে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
তবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলি করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর করে চাঁদা আদায় করছে শাসকদলের শিক্ষক সংগঠন। তবে এইভাবে চাঁদা আদায় করা যাবে না। সরকারি মঞ্চকে দলীয় মঞ্চ বানিয়ে ফেলেছে শাসক দল। সরকারি প্রতিযোগিতা এখন তৃণমূলের প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত হয়েছে। ক্রীড়া পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের উদ্যোগ নিয়ে সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে ডেকে আয়-ব্যায়ের হিসাব প্রদর্শন করতে হবে।
বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন ABPTA জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেছেন, জলপাইগুড়ি জেলার প্রাথমিক স্তরের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা, প্যারা টিচার ও এস এস কের সহায়ক সহায়িকাদের কাছ থেকে ৩০০ চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। নিমন্ত্রণ পত্রে খুব অদ্ভুতভাবে করা হচ্ছে কাউন্টার পার্ট। আমরা দপ্তরে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে।