বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিপাড়ার কোনো অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন যদি অধিকাংশ সময় সংবাদ শিরোনামে থাকে, তিনি নিশ্চয়ই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। আর হবে নাই বা কেন, পেশাগত জীবনের তুলনায় অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনটা বেশি বৈচিত্রপূর্ণ। যেন আস্ত একটা সিনেমা। অনস্ক্রিনের মতো বাস্তবেও একাধিক নায়ক এসেছে শ্রাবন্তীর জীবনে। কিন্তু মনের মানুষকে কারোর মধ্যেই খুঁজে পাননি তিনি। তবে তৃতীয় স্বামী রোশন সিংকে যেন জীবন থেকে সরিয়েও সরাতে পারছেন না শ্রাবন্তী।
বিয়ের বছর ঘোরার পরেই আলাদা হয়ে যান শ্রাবন্তী রোশন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত আইনি বিচ্ছেদ হয়নি তাঁদের। আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে দুজনের। যদিও সেই মামলার নিস্পত্তি হয়নি এখনো। এর মধ্যেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, আবারো রোশনের সংসারেই ফিরতে হতে পারে শ্রাবন্তীকে।
আসলে প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে শিয়ালদহ আদালতে ‘রেস্টিটিউশন অফ কনজুগাল রাইটস’এ মামলা দায়ের করেছেন রোশন। যদি স্বামী বা স্ত্রী কোনো সঙ্গত কারণ ছাড়াই বাড়ি ছেড়ে বা দাম্পত্য সম্পর্ক ছেড়ে চলে যান তাহলে অপরজন এই মামলা করতে পারেন। রোশনের অভিযোগ, শ্রাবন্তী নাকি কোনো সঙ্গত কারণ ছাড়াই তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রে রোশন যদি মামলায় জয়ী হন তাহলে আদালতের নির্দেশে আবারো প্রাক্তন স্বামীর কাছেই ফিরতে বাধ্য থাকবেন শ্রাবন্তী। উল্লেখ্য, এর আগে রোশন জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারে বিয়ে ভাঙার চল নেই। তিনি শ্রাবন্তীকেই আবার ফেরত চান।
যদিও স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন শ্রাবন্তী। সেই সঙ্গে রোশনের থেকে খোরপোষও চেয়েছেন তিনি। ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ১২৫ ধারায় খোরপোষের মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু শ্রাবন্তীর কপাল খারাপ। আদালতে গিয়ে ফাঁপড়ে পড়েছেন তিনি নিজেই।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার খোরপোষের মামলায় অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। কারণ শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা চলছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪০ ধারায় পারজারি অর্থাৎ হলফনামা দিয়ে আদালতে মিথ্যে সাক্ষী দেওয়ার জন্য অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন রোশন। খোরপোষের মামলায় স্থগিতাদেশ জারি করলেও মিথ্যে সাক্ষীর মামলা জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।