বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের সবথেকে চর্চিত অভিনেত্রী সম্ভবত শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। তাঁর অনস্ক্রিন এবং অফস্ক্রিন দুটো জীবনই রঙিন। তবে জীবনে বৈচিত্র থাকলেও বিতর্কও কিন্তু কম নেই তাঁর। ব্যক্তিগত জীবনে বারবার সঙ্গী বদলানোয় বহুবার ট্রোলড হয়েছেন শ্রাবন্তী। রীতিমতো কুরুচিকর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
জীবনে একাধিক সম্পর্ক ব্যর্থ হয়েছে শ্রাবন্তীর। অত্যন্ত কম বয়সে বিয়ে, সন্তান, সংসার ভাঙার মতো অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। বারে বারে ভালবেসে বারে বারে মন ভেঙেছে অভিনেত্রীর। তিন তিনটি বিয়ে ভেঙেছে প্রতিবারই। আর এর জন্য কুৎসিত ট্রোশের শিকারও হতে হয়েছে শ্রাবন্তীকে। তবে শুধু নেটনাগরিকরাই নয়। অভিনেত্রীর বাবা মা-ও ছেড়ে কথা বলেননি তাঁকে।
একবার জি বাংলার হ্যাপি পেরেন্টস ডে তে বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে এসেছিলেন শ্রাবন্তী। সেখানেই মেয়ের জীবনের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্যামেরার সামনেই মুখ খুলেছিলেন তাঁর বাবা মা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ে করে বসেছিলেন শ্রাবন্তী।
মেয়ের এমন সিদ্ধান্ত মা বাবা যে মেনে নিতে পারেননি তা ফাঁস হয়ে গিয়েছিল ওই শোতেই। অভিনেত্রীর বিয়ের কথা সরাসরি না বললেও ওই ঘটনার জন্য শ্রাবন্তীকে কী শাস্তি দিয়েছিলেন সেকথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। অভিনেত্রীর বাবা মা বলেছিলেন, মেয়ের সঙ্গে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁরা। ওটাই তাঁর জন্য সবথেকে বড় শাস্তি ছিল।
মা বাবার কথায় পুরনো স্মৃতি মনে করে চোখ জলে ভরে উঠেছিল শ্রাবন্তীর। টপ টপ করে চোখ থেকে ঝরে পড়েছিল জল। বাবা মায়ের কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া যে তাঁর কাছে কত বড় শাস্তি সেটাই প্রমাণ করে দিয়েছিল তাঁর চোখের জল।
প্রসঙ্গত, প্রথমে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসেরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্রাবন্তী। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকলেও শেষপর্যন্ত টেকেনি সেই বিয়ে। রাজীব তাঁর ওপর শারীরিক অত্যাচার চালাতো, এটা নিজের মুখেই স্বীকার করতে শোনা গিয়েছে শ্রাবন্তীকে। বাধ্য হয়ে ছেলেকে নিয়ে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। এরপর বিয়ে মডেল তথা ব্যবসায়ী কিষান ব্রজকে। কিন্তু এই বিয়ের মেয়াদও ছিল মাত্র দু বছর।
তারপর রোশন সিংয়ের সঙ্গে তৃতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী। তাও আবার চুপিসাড়ে। রোশনের সঙ্গে চণ্ডীগড়ে গিয়ে সম্পূর্ণ পাঞ্জাবি রীতিতে বিয়ে করে নেন শ্রাবন্তী। কিন্তু এক বছর পরে সেই বিয়েতেও ধরে ভাঙন।