প্রেস, ড্রাইভার, সিকিউরিটির প্রবেশ নিষেধ! কাঞ্চনের বিয়েতে জারি ছিল ফতোয়া! ধুয়ে দিলেন শ্রীলেখা, জিতুরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের অনুষ্ঠান মিটেছে বেশ কিছুদিন হল। তবুও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না সদ্য বিবাহিত এই দম্পতির। যখন প্রথম কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের খবর সামনে আসে তখন থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ট্রোলিং। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অভিনেতা-সাংসদ কাঞ্চন মল্লিক।

দ্বিতীয় স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কাঞ্চন আইনত বিয়ে করেন শ্রীময়ী চট্টরাজকে। গতকাল ছিল কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশন। এই রিসেপশন পার্টিতেও কাঞ্চন-শ্রীময়ীর পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। সাধারণ মানুষ থেকে টলিউডের তারকা, একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অনেকেই অভিযোগ করেছেন সংবাদ মাধ্যমকে রীতিমতো অপমান করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।

   

আরোও পড়ুন : শ্রীময়ী অতীত! ফের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন কাঞ্চন, দেখুন এবারের পাত্রীটি কে

দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাতক ক্লাবে কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর রিসেপশন পার্টি ছিল গত 6 মার্চ। শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, প্রমুখ তারকারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এই পার্টিতে। এই পার্টির বিভিন্ন জায়গায় একটি পোস্টার নজরে আসে সকলের। এই পোস্টারের একদম নিচের লেখা রয়েছে,  ‘প্রেস এবং ড্রাইভার এবং ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের প্রবেশ নিষেধ।’

আরোও পড়ুন : ‘পয়সা দিত না’…চোখে জল আনা কাহিনী শোনালেন বনগাঁর কালীদি! ৯০ টাকার মটন বেচে টক্কর দেন নন্দিনীকেও

এই লেখাটি নিয়েই এখন শোরগোল পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘ভারতীয় এবং কুকুরদের প্রবেশ নিষেধ’ এর ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা জিতু কামাল। এছাড়াও প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর রিসেপশনের পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন,  ‘আমায় যে গুটি কয়েক মানুষ ইন্ডাস্ট্রিতে পছন্দ করেন তারা বহুবার আমায় আমার ভালোর জন্য বলেছেন যে কোনও বিতর্কে না জড়াতে। চেষ্টা করেছি এড়িয়ে যাওয়ার কিন্তু পারি না সবসময়। এঁদের বিয়ে নিয়ে বলার কিছু নেই।”

img 20240307 wa0010

পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “আনুসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বলার আছে। বেশ কদিন যাবত মিডিয়া দুটো বড় বিয়ে নিয়ে খুব হইচই করেছে। উৎসাহ দেখিয়েছেন। তারা এবং আপনারা সবাই ছবিটির নিচের লেখাটা দেখুন। শুনেছি ব্রিটিশ আমলে বড় বড় ক্লাবে এভাবেই লেখা থাকত ভারতীয় এবং কুকুরের প্রবেশ নিষেধ। বাকি আপনাদের মতামত। একটাই কথা বলতে চাই ক্লাস ম্যাটার করে।’

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর