বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য সদ্য বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ (rudranil ghosh)। দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালরাও। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়ে চলেছেন রুদ্রনীল। আর তা বজায় রয়েছে এখনো।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এবার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra) ও সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিনের (taslima nasrin) জোর কটাক্ষের শিকার হতে হল রুদ্রনীলকে। অভিনেতার চারটি ছবির কোলাজ শেয়ার করেন শ্রীলেখা। রুদ্রনীলের একটি সাধারন ছবি ও লাল, সবুজ ও গেরুয়া রঙে আরো তিনটি ছবির কোলাজ শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। তবে ক্যাপশনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এটা তাঁর বানানো নয়, সংগৃহীত।
অপরদিকে তসলিমা নাসরিনও একটি বড়সড় পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশি সাহিত্যিক লিখেছেন, এক আলোচনায় রুদ্রনীল নাকি মন্তব্য করেছিলেন এখন আর পুরুষতন্ত্র নেই। নারী নির্যাতন হলেও তা মহিলাদের দোষেই হয়। এরপর নাকি বাকি আলোচনাটা ওই ‘জ্ঞানী ব্যক্তির’ বক্তৃতা শুনেই গিয়েছিলেন তসলিমা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে টলিউড তথা রাজনৈতিক মহল সরগরম হয়ে ছিল রুদ্রনীলের বিজেপি যোগদানের গুঞ্জন নিয়ে। বেশ কয়েকবার অভিনেতা নিজেও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে।
এর আগেই রুদ্রনীল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন তিনিও সেখানেই যাবেন। দুজনের সখ্যতার কথা কারোরই অজানা নয়। টলিউডের এক অভিনেতার পার্টিতেও একত্রে দেখা যায় রুদ্রনীল, রাজীব ও শুভেন্দু অধিকারীকে। জল্পনা তুঙ্গে তুলে নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সেলফিও তোলেন রুদ্রনীল।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মানুষ একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর সেলফি পোস্ট করা নিয়ে চরম ট্রোলড হতে হয়েছিল রুদ্রনীলকে। কিন্তু কোনো উচ্চবাচ্য করেননি তিনি। কারণ রুদ্রনীলের মতে, এসবই নির্বাচন পর্যন্ত চলবে। সব মিটে গেলেই সবার কাছে ফের তিনি একজন অভিনেতা।