বাংলাহান্ট ডেস্ক: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় দুর্দান্ত ফলাফল করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) একমাত্র মেয়ে মাইয়্যা (Maiya)। ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাকেও চমকে দিয়েছেন তিনি। মেয়ের রেজাল্টের আগে বেশ ভয়ে ভয়েই ছিলেন শ্রীলেখা। কিন্তু মাইয়্যার রেজাল্ট হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনন্দও জাহির করে ফেলেছিলেন। তারপরেই অবশ্য খেতে হয়েছে মেয়ের ধমক।
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সব বিষয়েই ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন মাইয়্যা। এত ভাল রেজাল্ট করেও কিন্তু চিরাচরিত পথে হাঁটছেন না তিনি। সায়েন্স নয়, কমার্সও নয়। মাইয়্যার ইচ্ছা আর্টস নিয়ে পড়াশোনা করার। একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতেও একই রকম ভাল রেজাল্ট করতে চান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমকে শ্রীলেখা জানিয়েছেন, মেয়ে মাইয়্যা বড় হয়ে বিনোদন জগতেই আসতে চান। তবে মায়ের মতো অভিনেত্রী নয়, তিনি থাকবেন ক্যামেরার পেছনে। বড় হয়ে পরিচালক হওয়ার ইচ্ছা মাইয়্যার। এখন থেকেই তাই মাকে দেখে পরিচালনার কাজ শিখছেন তিনি। মায়ের কাজের সমালোচনাও করেন। তাতে অবশ্য খুশিই হন শ্রীলেখা। মেয়ের ইচ্ছাকেই মান্যতা দিয়েছেন অভিনেত্রী ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী।
খুশি মনে মেয়ের রেজাল্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন শ্রীলেখা। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সরে যায় সেই পোস্ট। নতুন বার্তা দেন শ্রীলেখা। লেখেন, ‘আগের পোস্টটা আর্কাইভ করলাম মেয়ের হুকুমে। আরো বেশি আশা করেছিল। কোনোকিছুতেই এরা খুশি নয়। আমি হলে তো ধেই ধেই করে নাচতাম এত নম্বর পেয়ে।’
মাইয়্যা একটু শাসনেই রাখেন শ্রীলেখাকে। তাঁর যখন মাত্র ৮ বছর বয়স তখনি আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন বাবা মা। মাইয়্যা অবশ্য ছোট থেকেই পালা করে বাবা আর মায়ের কাছে থেকে এসেছেন। কয়েক মাস আগেই বাবাকে হারিয়েছেন শ্রীলেখা। এখন মেয়ে আর পোষ্যদের ঘিরেই তাঁর গোটা জগৎটা। দিন কয়েক আগে অস্ত্রোপচারের সময়েও বড়দের মতো মাকে সামলেছিলেন মাইয়্যা।