বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকটা সময় কাটান শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেটমাধ্যমে আলোচনা করেন তিনি। সে রাজনীতি হোক বা অন্যান্য বিষয়, নিজের মতামত প্রকাশ করতে কখনোই পিছপা হন না তিনি। অনেক সময়েই তাঁর ‘ঠোঁটকাটা’ ভাবমূর্তির জন্য কটাক্ষে বিদ্ধ হন অভিনেত্রী। কিন্তু সমালোচনাকে কোনোদিনই ভয় পাননি শ্রীলেখা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘পাড়ায় মাইকে গত ৫/৬ দিন ধরে চিৎকার করে হরিনাম সংকীর্তন চলছে…. অসুস্থ রোগীও থাকতে পারে আশেপাশে বা অন্য ধর্মের মানুষ, এসব নিয়ে বলা মানে হিন্দু ধর্মকে ছোট করা নয় আশা করি সেটা পরিষ্কার।’ সেই সঙ্গে শ্রীলেখা এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নন। তাঁর মতে, ভালবাসা সব ধর্মের উর্দ্ধে।
কমেন্ট বক্সে অনেকেই সমর্থন করে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিষয়টা নিয়ে। কারোর আপত্তির পরোয়া না করেই মাইকে তারস্বরে সংকীর্তন বাজানো অনেক সময়েই বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন কয়েকজন। শ্রীলেখার মতে, এমনিতেই বিষয়টা স্পর্শকাতর। উপরন্তু মানুষ ধর্মের নামে অন্ধ হয়ে উঠেছে।
এর আগে দিওয়ালির সময়ে বাজির কান ফাটানো আওয়াজের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন শ্রীলেখা। অবলা প্রাণীগুলোর কথা চিন্তা করে আর্জি জানিয়েছিলেন, শব্দহীন বাজি ফাটাতে। নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্যও কুরুচিকর ট্রোলের মুখে পড়তে হয় শ্রীলেখাকে। মাঝে কিছুদিন মানসিক শান্তির জন্য ফেসবুক থেকে সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে পরোক্ষে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন শ্রীলেখা। নাম না করে বনি সেনগুপ্তকে কটাক্ষ শানিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘জীবনে একটা ইডি সিবিআই এর ডাক পেলাম না! রোজ ভ্যালি টু কুন্তল… কী করলাম ছি ছি!’ আবার পরের ছবির জন্য প্রযোজকের আশায় বসে থাকতে হবে, কপট আক্ষেপ করেছিলেন শ্রীলেখা।
‘পান্ডিত্য করলেই রাজনৈতিকভাবে…’ সোহমের মন্তব্য ঘিরে তৃণমূলে বিরাট হইচই