বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক বছর হতে চলল নিজের সবথেকে কাছের মানুষকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। গত বছর নিজের জন্মদিনের পরপরই বাবাকে হারান অভিনেত্রী। গত বছর জন্মদিনটা বিদেশের মাটিতেই কাটিয়েছিলেন শ্রীলেখা। চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য ভেনিস যেতে হয়েছিল তাঁকে। দেশে ফেরার পরেই যে এমন মর্মান্তিক একটা ঘটনার সাক্ষী তাঁকে হতে হবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শ্রীলেখা।
মাকে হারিয়েছেন আগেই। একমাত্র মেয়ে মাইয়্যা, চারপেয়ে সন্তানরা ও বাবাকে নিয়েই ছিল শ্রীলেখার সংসার। নিজের বড় আশ্রয়ের স্থল হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন শ্রীলেখা। দীর্ঘদিন পর্যন্ত বাবার স্মৃতি আঁকড়েই দিন কাটাচ্ছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শোক ফিকে হয় ঠিকই, কিন্তু সম্পূর্ণ মুছে যায় কি? উঁহু। এখনো জীবনের প্রতিটা কাজে, প্রতিটা ক্ষণেই বাবার স্মৃতিকে সঙ্গী করে রাখেন শ্রীলেখা।
এবার বাবার এক অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করতে চলেছেন অভিনেত্রী। দেশভাগ নিয়ে বাবার লেখা একটি প্রবন্ধ বই আকারে প্রকাশ করতে চলেছেন তিনি। এটাই বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে হতে চলেছে তাঁর শ্রদ্ধার্ঘ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবরই শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা।
লেখালেখির শখ ছিল অভিনেত্রীর বাবা। লেখা নিয়েই থাকতেন তিনি। বাবার গুণ পেয়েছেন শ্রীলেখাও। আগামী ২৫ তারিখ বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। বাবারই একটা লেখা প্রুফ রিড করে ছাপতে দেবেন শ্রীলেখা, এমনটাই পরিকল্পনা করে রেখেছেন তিনি।
বাবার লেখা সহ একাধিক ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘এ মাসেই ২৫ তারিখে গত বছর বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যায়। বাবারও আমারই মতো লেখালেখির শখ ছিল। তাই বাবার একটা লেখা, মূলত, বাংলাদেশে আমাদের আদি জমিদারি বাড়ির গল্প থেকে দেশভাগের কয়েক বছর পর সেখান থেকে এদেশে আসা এবং তার স্ট্রাগল নিয়ে লেখার উপর ভিত্তি করে একটা প্রবন্ধ ছাপাচ্ছি বই আকারে, দেজ পাবলিশিং থেকে।
আজ সকাল থেকে বাইরের আবহাওয়ার মতোই মনটা খানিক ভিজে আছে। বসে প্রুফ রিড করছি ফাইনাল ছাপতে দেওয়ার আগে। জীবদ্দশায় পারলাম না, মৃত্যুর এক বছরে এটাই আমার নিবেদন। আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে হারিয়ে আজ আমি বড্ড একা। তাই আজ মৃত্যু ভয়, ভোগ বিলাসে সেভাবে আর আকৃষ্ট হই না। পরপারে যাওয়ার জন্য আমিও খানিক প্রস্তুতি নিচ্ছি বলা যেতে পারে। যদি ওদের দেখা পাই আবার।’