বাংলাহান্ট ডেস্ক: সদ্য তৃণমূলে (tmc) যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (sayani ghosh)। গত বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লেও সায়নীর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে অবাকই হয়েছেন অনেকে। এই তালিকায় রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্রও (sreelekha mitra)।
ঘনিষ্ঠ মহলে সায়নী কঠোর বামপন্থী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন এতদিন। শ্রীলেখার আক্ষেপ, বামপন্থীরা কোনো কিছুতেই বিক্রি হয় না জানতেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের কাছে সায়নী আদর্শ স্বরূপ ছিলেন। এখন তাঁর ভাবমূর্তিটা কেমন হল? যে রুদ্রনীল ঘোষকে ‘পালটিবাজ’ বলেছিলেন তাঁর মতোই তো হয়ে গেলেন সায়নী।
শ্রীলেখার বক্তব্য, যখন পরিচালক অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’এর মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছিল তখন প্রতিবাদী স্বরদের মধ্যে একটা ছিল সায়নীর। তৃণমূল সরকারকে সেই সময় ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। তাহলে এখন হঠাৎ কি হল?
শ্রীলেখার কথায়, বড় কোনো টোপ পেয়েছেন সায়নী যার জন্য হঠাৎ নির্বাচনের আগেভাগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। সায়নীকে সম্ভবত ভোটে প্রার্থী করা হতে পারে তৃণমূলের তরফে। এমনটাই মনে করছেন শ্রীলেখা। তবে সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, টোপ পেলেই যে সেটা গিলতে হবে তেমন তো কোনো কথা নেই।
উপরন্তু সায়নী যে টোপ গিলবে তা শ্রীলেখা ভাবতে পারেননি। তাঁকে টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান শ্রীলেখা। কিন্তু তিনি তা শোনার প্রয়োজনও বোধ করেননি বলে জানান অভিনেত্রী। সায়নীর এমন ‘রূপ বদলানোয়’ কার্যতই হতাশ শ্রীলেখা মিত্র।
এর আগে সায়নীকে বলতে শোনা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে নারীদের যে সম্মান দেওয়া হয় তা আর কোথাও নেই। কর্মক্ষেত্রেও তার প্রতিফলন পেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সায়নী বলেছিলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকার সুবিধা রয়েছে। নারী নিরাপত্তায় পশ্চিমবঙ্গ নাম্বার ওয়ান। গোটা দেশে এখন কি চলছে তা আমরা জানি। রাত দুটোয় কাজ করে বাড়ি ফিরব তা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোথাও ভাবাই যায় না।”