বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলা সিনে জগতের ‘ঠোঁটকাটা’ অভিনেত্রী হিসাবে সুখ্যাতি কুখ্যাতি দুই রয়েছে শ্রীলেখা মিত্রের (sreelekha mitra)। ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরের ব্যাপার হোক বা রাজনীতি সব নিয়েই রাখঢাক না করেই কথা বলতে ভালবাসেন তিনি। এমনকি যৌনতা নিয়েও কখনো ছুঁতমার্গ করতে দেখা যায়নি শ্রীলেখাকে। বিষয়টা নিয়ে বহুবার ট্রোল হয়েছেন তিনি। কিন্তু ভয় পেয়ে মুখ বুজে থাকার দলে নেই শ্রীলেখা।
সম্প্রতি ‘ফ্রি দ্য নিপল মুভমেন্ট’ নিয়ে মতামত রাখেন অভিনেত্রী। মূলত হলিউডেই শুরু হয় নারীদের এই বিশেষ আন্দোলন। নিজের শরীরের উপর অধিকার থেকেই অন্তর্বাস পরা বা না পরার অধিকার জন্মায়। জনসমক্ষে কোনো মহিলা অন্তর্বাস পরবেন কিনা সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। সমাজের চোখে সেটাই স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা চলে আসছে অনেক বছর ধরে।
একাধিক হলিউড অভিনেত্রী বিষয়টা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বাস ছাড়াই প্রকাশ্যে এসেছেন। অনেকে প্রশংসা করেছেন, অনেকে নিন্দা। বলিউডেও মালাইকা অরোরা এমন কাণ্ড করেছিলেন বটে। তবে তাঁর কপালে জুটেছিল শুধুই সমালোচনা। সেক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে টলিউডে এমন আন্দোলন গড়ে তোলার কতটা পক্ষপাতী শ্রীলেখা?
আনন্দবাজার অনলাইনে তিনি জানান, যদি এদেশের মানুষ রাস্তাঘাটে মহিলাদের বুকের দিকে তাকানো বন্ধ করে তাহলে ব্রা ছাড়া পথেঘাটে বেরোনোর কথা তিনি ভেবে দেখতে পারেন। কিন্তু আন্দোলন করতে হবে বলেই অন্তর্বাস খুলে বেরিয়ে পড়তে রাজি নন তিনি। এর আরো একটা কারণ দর্শিয়েছেন শ্রীলেখা।
সেটা হল ট্রোল। অন্তর্বাস খোলার দরকারই পড়ে না। একটা সরু স্ট্যাপের জামা পরে রিল বানালেও ধেয়ে আসে কটু মন্তব্য। শ্রীলেখার স্পষ্ট কথা, “পাশ্চাত্যের দেশের সঙ্গে আমাদের তুলনা করলে চলবে না। ওখানে ব্রা ছাড়া রাস্তায় বেরোনো যেতে পারে। কিন্তু এখানে সেটা সম্ভব নয়। এই দেশে সেদিন আসতে অনেক সময় লাগবে।”
‘ফ্রি দ্য নিপল মুভমেন্ট’ নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী অনিন্দিতা বসুও। তাঁর মতে, নারীবাদী হওয়ার জন্য আলাদা করে প্রমাণ করার তো কোনো দরকার নেই। ব্রা পরা বা না পরা নিয়ে কোনো আন্দোলন করতে চান না তিনি। বিষয়টা নিয়ে আলাদা করে কথা বলার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন না তিনি। তবেই না সেটা স্বাভাবিক হবে। নিজে তিনি অন্তর্বাস ছাড়া পোশাক পরতে স্বচ্ছন্দ না হলেও পোশাকের ধরন যদি তেমন হয় তবে ব্রা না পরেও গিয়েছেন অনিন্দিতা। কিন্তু কাউকে বুঝতে দেননি। যস্মিন দেশে যদাচার।