বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের (election) আগে ‘খেলা হবে’ জ্বরে কাঁপছে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ। জ্বরের আঁচ পড়েছে টলিপাড়াতেও। গত এক মাস ধরেই রাজনীতিতে (politics) পা রাখতে দেখা যাচ্ছে তারকাদের। অনেকে আবার দলও বদলে ফেলেছেন। আবার কয়েকজন রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও নিজের মতামত ঠিকই প্রকাশ করছেন।
এই তালিকাতেই রয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। নিজের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের পাশাপাশি রঙ বদলানো তারকাদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না তিনি। এবার ফের একটি গানের ভিডিও শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই পক্ষকেই কটাক্ষ করেছেন তিনি।
রেডইঙ্ক এর তৈরি মিউজিক ভিডিওটি শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘হবে হবে খেলা হবে, ধৈর্য্য ধরুন’। ভিডিওটি তিনি পরিচালক অনীক ধরের থেকে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীলেখা। ইতিমধ্যেই বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি।
সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেন শ্রীলেখা। নিজের নতুন লুকের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, লুক বদলে ফেললেও তাঁর মতাদর্শটা একই আছে। নাম না করেই যে সম্প্রতি দল বদল করা তারকাদের কটাক্ষ করেছেন তিনি তা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছে।
সায়নীর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে শ্রীলেখা লেখেন, ‘সায়নী তুইও বিক্রি হয়ে গেলি? খেলতে নামলি?’ ঘনিষ্ঠ মহলে সায়নী কঠোর বামপন্থী হিসাবেই পরিচিত ছিলেন এতদিন। শ্রীলেখার আক্ষেপ, বামপন্থীরা কোনো কিছুতেই বিক্রি হয় না জানতেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের কাছে সায়নী আদর্শ স্বরূপ ছিলেন। এখন তাঁর ভাবমূর্তিটা কেমন হল? যে রুদ্রনীল ঘোষকে ‘পালটিবাজ’ বলেছিলেন তাঁর মতোই তো হয়ে গেলেন সায়নী।
শ্রীলেখার বক্তব্য, যখন পরিচালক অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’এর মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছিল তখন প্রতিবাদী স্বরদের মধ্যে একটা ছিল সায়নীর। তৃণমূল সরকারকে সেই সময় ‘ফ্যাসিস্ট’ বলেও আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। তাহলে এখন হঠাৎ কি হল?
শ্রীলেখার কথায়, বড় কোনো টোপ পেয়েছেন সায়নী যার জন্য হঠাৎ নির্বাচনের আগেভাগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। সায়নীকে সম্ভবত ভোটে প্রার্থী করা হতে পারে তৃণমূলের তরফে। এমনটাই মনে করছেন শ্রীলেখা। তবে সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, টোপ পেলেই যে সেটা গিলতে হবে তেমন তো কোনো কথা নেই।
উপরন্তু সায়নী যে টোপ গিলবে তা শ্রীলেখা ভাবতে পারেননি। তাঁকে টোপ দেওয়া হয়েছিল বলে জানান শ্রীলেখা। কিন্তু তিনি তা শোনার প্রয়োজনও বোধ করেননি বলে জানান অভিনেত্রী। সায়নীর এমন ‘রূপ বদলানোয়’ কার্যতই হতাশ শ্রীলেখা মিত্র।
শ্রীলেখার অভিযোগের উত্তরে সায়নী বলেন, তিনি কোনোদিন বামপন্থীদের মিটিং মিছিলে যাননি। বামমনস্কদের তিনি শ্রদ্ধা করেন। তাতে যদি কেউ তাঁকে বামপন্থী মনে করেন তাতে তাঁর কিছু করার নেই।