বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঢাকে পড়ে গিয়েছে কাঠি। ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই রাস্তায় জনজোয়ার। সেজেগুজে প্যান্ডেল হপিংয়য়ে বেড়িয়ে পড়েছেন মানুষ। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও (sreelekha mitra)। কিন্তু এ বছর তাঁর মনে আনন্দ নেই। পুজোর আগেই পিতৃহারা হয়েছেন অভিনেত্রী। এবারের পুজোটা একরাশ মন খারাপ বয়ে নিয়ে এসেছে শ্রীলেখার জন্য।
জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মানুষটা আজ নেই। চাইলেও কি মন ভাল থাকে? মেয়ের আবদারে পুজোর শপিং, সাজগোজ সবই করছেন শ্রীলেখা, কিন্তু সবটা জোর করেই। মন যে এখনো পড়ে রয়েছে বাবার কাছেই। তাই তো তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে বারে বারে উঠে আসছে বাবার স্মৃতি।
পুজোর আগে অনুরাগীদের জন্য নিজের কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা। খয়েরি রঙা স্প্যাগেটি টপে সেজেছেন তিনি। সঙ্গে জাঙ্ক জুয়েলারি, মানানসই হালকা মেকআপ। ক্যাপশনে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘পুজোয় নতুন শাড়ি হয়নি তাই হয়তো এভাবেই দেখব বা দেখবে। অবশ্য হলেও বা কী, যাবোই বা কোথায়’।
দিন দুয়েক আগে দুটি ছবি শেয়ার করেছিলেন শ্রীলেখা। মেয়ের জন্য পুজোর শপিং করতে নিজের মনকে কিছুটা জোর করেই রাজি করিয়েছিলেন বেরোনোর জন্য। সঙ্গে ছিলেন প্রিয় বান্ধবী শুক্লা বি হাজরা। এবার পুজোয় কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই অভিনেত্রীর, তাই পুজোর স্পেশ্যাল সাজও দেখাতে পারছেন না তিনি অনুরাগীদের।
কিছুদিন আগেই বাবার স্বপ্নপূরণের গল্প শেয়ার করেছিলেন শ্রীলেখা। ছোট থেকেই বাবার মুখে বাংলাদেশের গল্প শুনে বড় হয়েছেন তিনি। দেশভাগের সময় এপার বাংলায় চলে এসেছিলেন শ্রীলেখার পূর্বপুরুষ।
একটি রিয়েলিটি শো তে বাবা আর তাঁর মুখে বাংলাদেশের গল্প শুনে যোগাযোগ করে সেদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অভিনেতা আলমগীর ও গায়িকা রুনা লায়লা। ব্যস, বাবা মেয়েতে মিলে ২০১৭ তে পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশ, শিকড়ের খোঁজে।
শ্রীলেখা লেখেন, ‘রুনা লায়লা (বিরাট ফ্যান যার আমরা সবাই) আপু আর আলমগীর (হ্যান্ডসাম হিরো আর খুব ভাল একজন মানুষ) ভাইয়ের বাসায় আমাদের যত্নের কথা আর কী বা বলব। শুধু ধনী নন ওঁরা, মনের দিক থেকে তার থেকে আরো অনেক অনেক ধনী। আমার ইচ্ছের তালিকায় ছিল বাবাকে তাঁর ভিটেতে একবার অন্তত নিয়ে যাওয়ার। আমি পেরেছি আলমগীর ভাইয়ের সাহায্য এক্ষেত্রে অনস্বীকার্য।’