বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিজেপির (bjp) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে (prasenjit chatterjee) তীব্র কটাক্ষ করলেন শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। সম্প্রতি বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রসেনজিতের ছবি ভাইরাল হতেই গুঞ্জন ওঠে এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনিও। যদিও পরে প্রসেনজিৎ স্পষ্ট করেছেন রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন না তিনি।
তা সত্ত্বেও অভিনেতাকে ঠুকতে ছাড়েননি শ্রীলেখা। বিজেপি নেতার সঙ্গে প্রসেনজিতের সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করে শ্রীলেখা লেখেন, ‘আমার নিন্দুকেরা যারা আমায় ভুল বা মিথ্যেবাদী প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন আশা করি খানিকটা উত্তর পেলেন।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘সবই মায়া’। এখানেই শেষ না। আরো একটি স্ট্যাটাস দিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘সেল সেল সেল সেলেব দের সেল লেগেছে’।
শ্রীলেখার বক্তব্য, টলিউডের অনেকেই যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। টাকা নিয়ে শো করা, ফিতে কাটা বা বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হওয়ার মতোই টাকা নিয়ে মানুষের কাজ করতে যাচ্ছেন এরা। অথচ এরা রাজনীতির ‘র’ও বোঝে না। অভিনেত্রী আরো দাবি করেন, তাঁর কাছেও বিজেপিতে যোগদানের প্রস্তাব এসেছিল। হয়তো বা টাকাও পেতেন তিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে বিজেপির আদর্শ মেলে না।
প্রসঙ্গত, লকডাউনে টলিউডে স্বজনপোষন নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল শ্রীলেখাকে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ শানিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় টলিউডের বহু ব্যক্তিই পালটা তোপ দেগেছিলেন শ্রীলেখার বিরুদ্ধে। এমনকি অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, তিনি মুখ খোলাতেই ‘মীরাক্কেল’ এর বিচারকের আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
অপরদিকে গতকাল গুঞ্জন তুঙ্গে উঠতে নিজেই সব জল্পনা উড়িয়ে বিষয়টা খোলসা করেন প্রসেনজিৎ। টুইটের মাধ্যমে রাজনীতিতে তাঁর যোগদানের বিষয়টি স্পষ্ট করেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘বাঙালি হিসাবে আমাদের সংষ্কৃতিতেই রয়েছে অতিথিদের অভ্যর্থনা করা। অতীতেও বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ও পেশার মানুষদের অভ্যর্থনা করেছি। আমি তাদের মতামতকে সম্মান করি তবে আমার নিজস্ব মতামতও রয়েছে।’
তিনি আরো লেখেন, ‘ড. গাঙ্গুলীর সঙ্গে সাক্ষাতের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। আমি যা জানি তাতেই লক্ষ্য স্থির থাকতে চাই আর তা হল অভিনয়।’ এতেই সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটান প্রসেনজিৎ।
এদিন অভিনেতার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে সাক্ষাৎ করতে আসেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলী। নিজের লেখা ‘অমিত শাহ অ্যান্ড দ্য মার্চ অফ বিজেপি’ বইটি তিনি উপহার দেন প্রসেনজিতকে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই গুঞ্জন শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।