বাংলাহান্ট ডেস্ক: সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হয়েও বাংলার রাজনৈতিক মহল নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। বহুবার বামেদের বিভিন্ন মিটিং, মিছিলে দেখা মিলেছে তাঁর। নিজের রাজনৈতিক অবস্থানের জন্যই রাজ্যের চলচ্চিত্র উৎসব, সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পান না বলেও মনে করেন শ্রীলেখা।
রাজনীতি মনস্ক অভিনেত্রীকে বিভিন্ন ইস্যুতে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপিকে। এমনকি ব্যঙ্গচ্ছলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) কটাক্ষ শানিয়েছেন তিনি বহুবার। সে সরস্বতী পুজোর মন্ত্র পড়া নিয়ে হোক বা নিরলস সাহিত্যচর্চার জন্য বাংলা সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে হোক, শ্রীলেখার খোঁচা মারার ধরণে হেসে কুটোপাটি হয়েছিলেন নেটিজেনরা।
এবারেও একটি ভিডিও দেখে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলেন না অভিনেত্রী। অতি সম্প্রতি মেঘালয়ে এক রাজনৈতিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় পোশাক, টুপি পরে দেখা যায় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই লুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই মিম, ভিডিওর ছড়াছড়ি। এর মধ্যেই ভাইরাল আরেকটি ভিডিও, যেটি শেয়ার করে নিয়েছেন শ্রীলেখাও।
আসলে এদিন সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে মেঘালয়ের ‘সুরেলা’ গ্রাম কংথং এর নাম উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। এই গ্রামের বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিসের মাধ্যমে। এরপর তিনি নিজেই অদ্ভূত শব্দ করে একটা উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর এই ভিডিওর সঙ্গে এডিট করা জুড়ে দেওয়া হয়েছে ‘বাহুবলী’ ছবির একটি দৃশ্য। আর তা দেখেই হাসির রোল নেটপাড়ায়। ভিডিওটি শেয়ার করে শ্রীলেখা শুধু লিখেছেন, ‘সংগৃহীত’। এর থেকে বেশি আর একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। তবে নেটিজেনরা হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন ভিডিওটি দেখে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন শ্রীলেখা। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ডাক পাননি তিনি। দেখানো হয়নি তাঁর পরিচালিত ছবি ‘এবং ছাদ’ও। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে সসম্মানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে এবং ছাদ। ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘হীরকের রানি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন শ্রীলেখা।