বাংলাহান্ট ডেস্ক: কালীপুজো (Kalipujo) মানেই আলোর উৎসব। সেই সঙ্গে রকমারি বাজি ফাটানোর জন্যও এই দিনটার অপেক্ষা করে থাকে সবাই। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শব্দবাজির দৌরাত্ম্যে প্রতিবারই প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড় হয় অনেকের। বিশেষ করে অবলা প্রাণীদের (Street Animal) কাছে কালীপুজো বা দিওয়ালির দিনটা বিভীষিকার সমান।
রাস্তাঘাটে কুকুর বিড়ালকে বাজি ফাটিয়ে হেনস্থা করার মধ্যে পাশবিক আনন্দ পান এমন অনেক মানুষই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আশেপাশে। কেউ কুকুরের লেজে কালীপটকা বেঁধে দেন, কেউ আবার অবলা প্রাণীগুলোর কানের সামনে গিয়ে ফাটিয়ে দেন শব্দবাজি। মানুষের মতো প্রতিবাদ করতে পারে না তারা। ফলতঃ বাজির শব্দে অনেক পথপশুর মৃত্যু পর্যন্ত হয়।
পশুপ্রেমীরা বারংবার প্রচার চালান শব্দবাজি বা কুকুর, বিড়ালের উপরে অত্যাচারের বিরুদ্ধে। সাবধান করে দিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও (Sreelekha Mitra)। অবলা প্রাণীদের উপরে অত্যাচার করে উল্লাস করার খবর পেলে তাদেরও খবর আছে, সাফ জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।
কালীপুজোর আগেই ফেসবুকে একটি বার্তা দিয়েছেন শ্রীলেখা, ‘এখন থেকেই শব্দবাজির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষদের এবং কুকুর বেড়ালদের কথা ভেবে একটু না হয় উৎসবের রাজ্যে একটু কম উৎসব হোক। মানুষের তুলনায় ওরা অনেক বেশি শোনে। সবাই বেঁচেবর্তে থাকুক। গতবারের মতো এবারে যদি শোনা যায়, কুকুরের লেজে বাজি ফাটানো হয়েছে, তো ভাই যে করবে তার খবর আছে। সাবধান করলাম।’
গণেশ চতুর্থীর সময়ে মহারাষ্ট্রেও শব্দবাজির দাপটে তটস্থ হয়ে উঠেছিল পথপশুরা। নিরীহ প্রাণগুলোর হয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী কিটু গিডওয়ানির। প্রশ্ন তুলেছিলেন, এটাই কি ভারতীয় সভ্যতা সংষ্কৃতি? গণেশজি কি এগুলো দেখলে খুশি হবেন?
কিটুর পোস্ট শেয়ার করে অবোলা প্রাণীদের জন্য কলকাতা থেকে সরব হয়েছিলেন শ্রীলেখাও। তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনাদের মতে আমরা পাগল যারা নিজেদের অবোলা বন্ধু, সন্তানদের জন্য চিন্তা করি। যারা এমন পাগলামি করে না তাদের জন্য করুণা হয়।’
নিজের বাড়িতে একাধিক পোষ্য রয়েছে শ্রীলেখার, যাদের তিনি নিজের সন্তান বলেই মানেন। পাশাপাশি পথপশুদের প্রতিও একই রকম ভালবাসা তাঁর। কোথাও কোনো অবলা প্রাণীর উপরে অত্যচারের খবর পেলেই সাধ্যমতো বিচারের চেষ্টা করেন শ্রীলেখা। পশুপ্রেমের জন্য বিশেষ জনপ্রিয়তাও আছে তাঁর।