মার্শের দাপুটে পারফরম্যান্স সত্ত্বেও হারলো দিল্লি! দুরন্ত জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে ফিরে এলো SRH

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ফের একবার হারের মুখ দেখলো দিল্লি ক্যাপিটালস। পরপর দুই ম্যাচ জিতে তারা প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু আজ এইডেন মার্করমের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অসাধারণ পারফরম্যান্স করে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়ে এক ম্যাচ কম খেলেই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ধরে ফেলল। এই মুহূর্তে ৮ ম্যাচ খেলে তাদের পয়েন্ট ৬। প্লে অফে যোগ্যতাঅর্জনের আশা এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে তারা।

আজ টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এইডেন মার্করম। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সাধারণত বড় রানের ম্যাচ দেখা যাচ্ছে না চলতি বছরে। কিন্তু আজ প্রথম দিকে অভিষেক শর্মা এবং শেষ দিকে হেনরিক ক্লাসেনের অসাধারণ অর্ধশতরান সানরাইজার্সকে ম্যাচে অনেকটা এগিয়ে দেয়। ওপেনিংয়ে তিনি যে স্বচ্ছন্দ সেটা আরও একবার প্রমাণ করলেন অভিষেক (৬৩)। ক্লাসেনের (৫৩) ছিল এটা প্রথম আইপিএল হাফ সেঞ্চুরি। এই স্মৃতিকে আব্দুল সামাদ (২৮) এবং ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার আকিল হোসেন (১৬) কিছু বড় শট খেলে সানরাইজার্সকে পৌঁছে দেন ১৫৭ রানের স্কোর অবধি।

দুরন্ত বোলিং করেছিলেন মিচেল মার্শ। ৪ ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই অজি অলরাউন্ডার। রান তারা করতে নেমে ওয়ার্নারকে দ্রুত হারালেও মার্শ এবং ফিলিপ সল্টের জুটি টানতে থাকে দিল্লিতে। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। তাদের মধ্যে ১১২ রানের একটা পার্টনারশিপ হয়। তারা যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, সানরাইজার্সকে অসহায় দেখাচ্ছিল।

কিন্তু ময়ঙ্ক মারখান্ডে ফিলিপ সল্টকে (৫৯) ফেরাতেই শুরু হয় দিল্লির পতন। এরপর হোসেন ফেরান অজি অলরাউন্ডার মার্শকে (৬৩)। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই দুজন টপ অর্ডারের ব‍্যাটার ফিরতেই দিল্লির মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে তাসের ঘরের মতো। অক্ষর প্যাটেল (২৯) ছাড়া এরপর আর কেউই ন্যূনতম চেষ্টাটুকু করেননি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮৮ রানেই আটকে যায় দিল্লি। কৃপণ বোলিং করে দুই উইকেট নেন মারখাণ্ডে। দিল্লির হাতে রয়েছে আরও ছয়টি ম্যাচ। সবকটি জিতলেও তাদের প্লে অফ নিশ্চিত হবে না। তাদের নিজেদের হাতে এখন আর কিছুই নেই।

 


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর