বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রবল আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থনীতির বেহাল দশার মধ্যেই অশান্ত শ্রীলঙ্কায় বদল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এই সবের মাঝেই ভারত যতটা সম্ভব সাহায্য করে চলেছে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে। কিছুদিন পূর্বেই ভারতের প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। এই দুর্দিনে ভারত পাশে এসে দাঁড়ানোয় রনিল বিক্রমসিংহে একটি ট্যুইটে লেখেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।’ পাশাপাশি তিনি জানান, ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁর।
ট্যুইট বার্তায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আমি আজ ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই কঠিন সময়ে ভারত যে ভাবে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তার জন্য আমি আমার দেশের তরফ থেকে কৃতজ্ঞ। আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
এরপর রনিল আরও একটি ট্যুইটে লেখেন, ‘কোয়াড সদস্যদের কাছে বিদেশি কনসোর্টিয়াম প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাবে ভারত এবং জাপান যে ভাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তার জন্যও আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ।’
এরই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের আর্থিক সীমা প্রায় শেষের দিকে। আমরা ভারতের কাছে আবেদন করছি যাতে ভারত এই সীমা আর একটু বাড়ায়। শ্রীলঙ্কার এই বিপদের সময় ভারত ছাড়া আর কেই পাশে এসে দাঁড়ায়নি। এমনকি চীনও ভারতের সাহায্য করার প্রবণতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
বিগত দিনে চীনের কাছে ঋণে জর্জরিত হয়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি একেবারেই ভেঙে পড়েছে। চীনকে হামবানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। এই আবহে শ্রীলঙ্কার আর্থিক সংকটের সময় ঋণ মুকুব করতেও রাজি হয়নি চীন। তবে আরও ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছিল দেশটি।
তবে শ্রীলঙ্কার ইদানিংকালের কার্যকলাপ দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে আপাতত ভারতের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে দ্বীপরাষ্ট্র। এদিকে কোয়াডের কাছে শ্রীলঙ্কার এই কনসোর্টিয়াম গঠনের প্রস্তাব বেজিংয়ের কাছে বেশ বড় ধরনের ধাক্কা।