বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) ধনী মন্দিরের তালিকার এক অন্যতম মন্দির হল জম্মুর শ্রী বৈষ্ণদেবী মন্দির (Vaishno Devi Temple)। ভারতে মানুষ সর্বদাই দেবদেবতার উপর ভরসা রাখেন। বিশ্বে মন্দির নির্মানের অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপনে ভারত অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ২০০১ সালের আদিম সুমারি অনুযায়ী ভারতে রয়েছে মোট ২০ লক্ষ মন্দির।
জমি থেকে ৫২০০ ফুট উঁচুতে লক্ষ বছর আগে গুহার মধ্যে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল। প্রতি বছরই লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসেন এই মন্দিরে মায়ের দর্শনে। ‘চল বুলায়া আয়া হে, মাতা নে বুলায়া হে’, এই মন্দিরে পূজা দিতে গেলে সকলের মুখেই এই কথাটি শোনা যায়। লোক মুখে শোনা যায়, এই মন্দিরের কালী ঠাকুরের দর্শন পেলে জীবনের সমস্ত ইচ্ছে চাওয়া পাওয়া পূরণ হয়ে যায়।
কথিত আছে, বহু বছর পূর্বে ভারতের দক্ষিণের বাসিন্দা রত্নাকর সাগর এবং তার স্ত্রী সন্তান লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলেন। তারপর তাঁদের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে, তারা শপথ নেন তাঁর ভবিষ্যতে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। তাঁকে নিজের মত থাকতে দেবে।
এই মেয়ে মাত্র নয় বছর বয়সে রাম ও বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করে বৈষ্ণ দেবী নামে পূজিত হন। এরপর ভগবান রাম তাঁকে একটি গুহার মধ্যে থাকতে বলে, তার নিরাপত্তার জন্য একটি সিংহ ,হনুমান ও তীর-ধনুক দিয়ে যান। এরপর সেই গুহাই বৈষ্ণ দেবীর মন্দির হিসাবে প্রসিদ্ধ হয়।
এই মন্দির নিয়ে আজও ভক্তদের মধ্যে অনেক অজানা রহস্য রয়েই গেছে। কিভাবে বৈষ্ণদেবী ওই গুহার মধ্যে থাকতেন? কিভাবেই বা গুহাটি তৈরি হয়েছিল? আরও নানা প্রশ্ন। তবে সকল প্রশ্নের উর্দ্ধে গিয়ে বলা হয়, ওই মন্দিরের মধ্যে একটা পজেটিভ এনার্জি রয়েছে এবং এই মন্দিরই হল বিশ্বে সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান।
এই মন্দিরের মধ্যে তিনটি গুহা থাকলেও, একটি বভহরের বিভিন্ন সময় বন্ধই থাকে। এই মন্দিরের যাত্রা পথ খুবই দুর্গম। তাই একবার এই মন্দিরে যে যায়, দ্বিতীয় বার আর সে যেতে চায় না।
সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ভারতের ধনী মন্দিরের তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা এই মন্দির বহু পৌরাণিক ইতিহাসের সাক্ষী। এই মন্দিরের দান বাক্সে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা দান জমা পড়ে।