বিশ্বের যে কোনো দেশে, তাদের দেশ হলো শুধুমাত্র একটা জমির খন্ড। অন্যদিকে ভারতীয়দের কাছে ভারত একটা জমির খন্ড নয়। উল্টে ভারত দেশকে একটা জীবন্ত আত্মা মেনে দেশের পরিকল্পনা করা হয়। সেই কারণে ভারতীয়রা দেশকে ভারত মাতা বলে সম্বোধন করে। যার ফলস্বরূপ দেশের কোনো এক অংশের বিকাশের অন্য অন্য অংশ সাহায্য করতে দ্বিধাবোধ করে না। অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে অযোধ্যায় একটি বিশাল রাম মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে যেখানে বিরোধ চলছিল সেখানে মন্দিরটি তৈরি করা হবে। সিদ্ধান্তের পরে রাম মন্দির তৈরির প্রস্তুতি চলছে। মন্দিরটি তৈরির জন্য পাথর রাজস্থান থেকে আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে মন্দির তৈরির জন্য তিরুপতি বালাজি মন্দির অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য 1 কোটি টাকা অনুদান দেবে। তিরুপতি মন্দিরটি অন্ধ্র প্রদেশে অবস্থিত। সবাই অপেক্ষা করছেন রাম মন্দিরটি অযোধ্যাতে তৈরি হবে। সিদ্ধান্তের পরে, রাম মন্দিরটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তৈরি করা উচিত।
অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের মন্দির তৈরির জন্য জোর দিয়ে কাজ চলছে। অনেক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মন্দির তৈরির জন্য এগিয়ে আসছে। এর মধ্যে তিরূপতি বালজি মন্দিরও যোগদান করতে সামনে এসেছে। মন্দিরের পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার অনুদান দেওয়া হবে। তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরটি অন্ধ্র প্রদেশের তিরুপতি শহর থেকে 9 কিলোমিটার দূরে তিরুমালা পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। জানিয়ে দি, তিরূপতি মন্দির দেশের খুবই ধনী একটা মন্দির। কিন্তু এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অযোধ্যায় ভগবান শ্রী রামের জন্মস্থান খুব শীঘ্রই জনপ্রিয় ও ধনী হয়ে উঠবে। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, অযোধ্যার রাম মন্দির তিরূপতি মন্দিরের থেকেও ধনী মন্দির হয়ে উঠবে। দেবনগরী অযোধ্যা দেশের খ্যাতি নামা ধার্মিক স্থলের মধ্যে সামিল হবে।
কেন্দ্র সরকার আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ট্রাস্ট তৈরির কাজে নেমে পড়েছে। সরকার ট্রাস্ট নির্মানের জন্য শীতকালীন অধিবেশনে বিল পেশ করবে। ট্রাস্টের মূল দায়িত্ব পালনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নাম উঠে এসেছে। যদিও সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য সামনে আসেনি। তবে ট্রাস্টের মধ্যে দু একজন মুসলিম ব্যাক্তিদের রাখা হবে, এই খবর সামনে এসেছে। যার পর নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেক সন্ন্যাসী ট্রাস্টের মধ্যে মুসলিম রাখার বিরোধিতা করেছেন।