বাংলা হান্ট ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে একধাক্কায় ১৯১১ জন বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে গেছে৷ আদালতের নির্দেশ দিয়েছ, চাকরি হারানো সকলকেই তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে৷ বেআইনি নিয়োগ নিয়ে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আক্রমণ শানাতে শুরু করেছেন বিরোধী পক্ষের নেতারা। এই প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বাম যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্য (Srijan Bhattacharya)।
সৃজন এদিন বলেন, ‘শাসক দলের নেতাদের মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছিলেন। কেউ কেউ জমি বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলেন। অনেকেই চাকরি চলে যাওয়ার পর দিশেহারা। ঘুষের টাকা ফেরত পাওয়ার একটাই উপায়, পাড়ার তৃণমূল নেতার জামা প্যান্ট খুলে নিন৷ এমনটাই মন্তব্য করে জল্পনা বাড়িয়েছেন সৃজন৷ যা নিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
সৃজন ভট্টাচার্য আরও দাবি করেন, ‘আপনার পাড়ায় যে তৃণমূলের নেতা ২০১১ সালের আগে সাইকেল চড়ত তিনি এখন স্করপিও গাড়ি ছাড়া কোথাও যাতায়াত করেন না। মার্বেলের বাড়ি বানিয়েছে তাঁর বাড়ির এক একটা ইঁট খুলে বিক্রি করে আপনার টাকা আদায় করুন।’
পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুরে সৃজন আরও বলেন, ‘আমরা আইনি পথেই সমস্তটা চাই। কিন্তু, এখানে রক্ষকই ভক্ষক। যদি আইনের পথে লড়তে গিয়ে তা দীর্ঘ মনে হয় সেক্ষেত্রে যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদেরকে বলব টাকা ফেরত পাবার একটাই উপায় পাড়ার তৃণমূল নেতার জামাপ্যান্ট খুলে নিন।’
নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক জনের নাম জড়িয়েছে। জেলে রয়েছে পার্থর গোটা দলই। সেখানে নতুন যুক্ত হয়েছে তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের নাম। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ও মানিক জোড় নিয়ে রাজ্যজুড়ে আলোচনা হচ্ছে৷ এরই মধ্যে গ্রুপ ডি নিয়ে একাধিক নির্দেশ হাইকোর্টের। চাকরি হারা প্রচুর সংখ্যক। টাকা ফেরত কীভাবে দেবেন? তাই নিয়ে দিশেহারা অনেক পরিবার। সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাদেরও নাম।
সৃজনের মন্তব্যের পালটা জবাব দেন তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহাশীষ মাহাতো। তিনি বলেন, ‘এই মন্তব্য অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য। সমাজের কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছেন তিনি। যিনি এই বার্তা দিচ্ছেন তিনি নিজেই এই কাজটা করে দেখান তো! যে ছাত্রছাত্রীদের এই শিক্ষা তিনি দিচ্ছেন তাঁরাও ভুল পথে চালিত হবে। অত্যন্ত নিন্দাজনক মন্তব্য।’