বউ অন্য কারোর প্রেমে পড়লে ভালোই, দূর্বাকে নিয়ে বিষ্ফোরক শ্রীজাত!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কবিতার গণ্ডি ছাড়িয়ে সিনেমায় মন দিয়েছেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (Srijato Bandopadhyay)। খুব শিগগির মুক্তি পেতে চলেছে ‘মানবজমিন’। এই ছবির হাত ধরেই পরিচালক হিসাবে হাতেখড়ি হবে তাঁর। ছবিতে রয়েছেন কবি পত্নি দূর্বাও (Durba Bandopadhyay)। ছবি মুক্তির আগেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনায় বসলেন শ্রীজাত।

এদিন তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী দূর্বাও। এদিন নিজের সহধর্মিণীকে নিয়েও মজায় মাতেন শ্রীজাত। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দূর্বা যদি অন্য কারোর প্রেমে পড়েন তাহলে তিনি কী করবেন? উত্তরে এতটুকুও অপ্রস্তুত না হয়ে শ্রীজাত স্পষ্ট বলেন, বউ অন্য কারোর প্রেমে পড়লেও ক্ষতি নেই। তাতে বরং তিনি বুঝবেন দূর্বার মনটা একটু সজীব আছে এখনো।

Srijato fb

শ্রীজাত বলেন, প্রেমে পড়লে ভালোই। তাহলে বোঝা যাবে এখনো তাঁর মনটা সজীব রয়েছে। মানুষ প্রেমে না পড়া মানে মনটা মরে যাওয়া। মন নেই কোথাও। নতুনের প্রতি আগ্রহই তৈরি হয়নি। তবে তিনি এও বলেন, প্রেমে পড়া মানেই যে শিকড় ছেড়ে উড়ে যেতে হবে এর তো কোনো মানে নেই। প্রেম আসা মানে জীবনে রোদ জল ঢোকা। কেউ প্রেমে না পড়া মানে সে নিজেকে আটকে রেখেছে।

স্বামীর মন্তব্যের উত্তরে দূর্বা বলেন, তাঁর পক্ষে সিরিয়াস প্রেমে পড়া সম্ভবই নয়। প্রেমে পড়লেই তাঁর শ্রীজাতর কবিতা মনে আসে। এই বিষয়টা নিয়ে তাঁর বন্ধুবান্ধবরাও নাকি মজা করেন দূর্বার সঙ্গে। শ্রীজাত পত্নির কথায়, প্রেম বন্ধুত্ব দুটোই থাকা উচিত। তবে একে অপরের মধ্যে বোঝাপড়া আর শ্রদ্ধা থাকলে বাকি সব আপনাআপনিই চলে আসে।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলিং নিয়েও মুখ খোলেন শ্রীজাত। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তুলে ‘পা চাটা তৃণমূলী বুদ্ধিজীবী’ কটাক্ষও উড়ে আসে তাঁকে লক্ষ্য করে। তবে এসবে বিশেষ পাত্তা দেন না শ্রীজাত।

তাঁর স্পষ্ট কথা, তিনি নিজে জানেন তিনি কী। তাই যতক্ষণ নিজের কাছে পরিস্কার রয়েছেন ততক্ষণ অন্য কাউকে জবাবদিহি করার প্রয়োজন মনে করেন না শ্রীজাত। এমনকি নিজেকে বুদ্ধিজীবী বলতেও নারাজ তিনি। কবির মতে, তাঁর অত বুদ্ধি নেই। তিনি শিল্পীও নন। বরং নিজেকে কবিতা কর্মী বলে পরিচয় দেন তিনি। গত ৩০ বছর ধরে কবিতা লেখার চেষ্টা করছেন। সদ্য ছবি বানানো ধরেছেন।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর