বাংলাহান্ট ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee), নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হার না মানা এক মুখ। ৬৫ পেরিয়েও তাঁর এনার্জির প্রশংসা করতে বাধ্য হন বিরোধী দলও। ২০২১ এই বাংলায় সরকার গঠন করে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। দিল্লিতে মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে অনেকেই দেখছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকেই। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরেও যে একজন মমতাময়ী নারী রয়েছেন, সেকথাই মনে করিয়ে দিলেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (srijato bandopadhyay)।
বুধবার ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন। রাজনৈতিক মহল থেকে তো বটেই, বিনোদন জগৎ থেকেও শুভেচ্ছা বার্তার ঢল নেমেছিল। তবে বিশেষ ভাবে নজর কাড়ল শ্রীজাতর পোস্ট। নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি বড় বার্তা দিয়েছেন তিনি। বরং বলা ভাল স্মৃতিচারণ।
শ্রীজাত জানিয়েছেন এ ঘটনা ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন ক্ষমা চাওয়ার জন্য তাঁকে ফোন করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন? কারণটা জানতে পেরে বেশ অবাকই হয়েছিলেন শ্রীজাত। আসলে তাঁর দিন কয়েক আগেই ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন কবি। তিনি ছিলেন মঞ্চে, স্ত্রী দূর্বা ছিলেন দর্শকাসনে। অনুষ্ঠান চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তাও বলেছিলেন শ্রীজাত। সেবারই দূর্বার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম আলাপ।
না, একটু ভুল হল। আলাপটা সেদিন হয়নি, যার জেরেই এত কাণ্ড। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন শ্রীজাতকে বলেছিলেন অনুষ্ঠান শেষে ‘বৌমা’র সঙ্গে আলাপ করবেন। কিন্তু নানা ডামাডোলে সেটা আর হয়ে ওঠেনি। যে জন্য পরে আবারো শ্রীজাতকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষমা চাওয়ার জন্য।
ফোনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সেদিন দূর্বার সঙ্গে দেখা করার কথা একেবারেই ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে থেকে অস্বস্তি হচ্ছে। তাই এই ফোন। শ্রীজাতকে তিনি বলেন, দূর্বাকে যেন তিনি জানান যে মমতাদি ‘সরি’ বলেছেন। কবিকে সস্ত্রীক বাড়িতে আসারও আমন্ত্রণ জানান।
সবশেষে শ্রীজাত স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অনেকেই এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজবেন। কিন্তু এই লেখাটা তিনি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য লেখেননি। লিখেছেন ব্যক্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে মানুষ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনানোর চেষ্টা করেছেন শ্রীজাত।