তৃণমূলের পা চাটা বুদ্ধিজীবী কটাক্ষ! মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে শ্রীজাতর জবাব, ‘অত বুদ্ধি নেই’

বাংলাহান্ট ডেস্ক: কবি থেকে পরিচালক, ধাপে ধাপে এগোচ্ছেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (Srijato Banerjee)। প্রথম ছবি ‘মানবজমিন’ মুক্তি পাওয়ার আগেই দ্বিতীয় ছবির কথাও ঘোষনা করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে পরিচালক হিসাবেও সূচনাটা মন্দ হয়নি তাঁর। তবে নিজে যতই নতুন নতুন কাজ করার চেষ্টা করুন না কেন, ট্রোল পিছু ছাড়ে না শ্রীজাতর। ‘বুদ্ধিজীবী’ বলে এখনো গাল খেতে হয় তাঁকে। কতটা পাত্তা দেন নিন্দায়? সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন কবি পরিচালক।

‘বুদ্ধিজীবী’ শব্দটাই এখন মর্যাদা হারিয়েছে। এক রকম গালাগালিতে পরিণত হয়েছে, একাধিক বিশিষ্ট মানুষজনের মুখে এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছে। শ্রীজাতও কম ট্রোলড হয় না। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তুলে ‘পা চাটা তৃণমূলী বুদ্ধিজীবী’ কটাক্ষও উড়ে আসে তাঁকে লক্ষ্য করে। তবে এসবে বিশেষ পাত্তা দেন না শ্রীজাত।

Srijato fb

তাঁর স্পষ্ট কথা, তিনি নিজে জানেন তিনি কী। তাই যতক্ষণ নিজের কাছে পরিস্কার রয়েছেন ততক্ষণ অন্য কাউকে জবাবদিহি করার প্রয়োজন মনে করেন না শ্রীজাত। এমনকি নিজেকে বুদ্ধিজীবী বলতেও নারাজ তিনি। কবির মতে, তাঁর অত বুদ্ধি নেই। তিনি শিল্পীও নন। বরং নিজেকে কবিতা কর্মী বলে পরিচয় দেন তিনি। গত ৩০ বছর ধরে কবিতা লেখার চেষ্টা করছেন। সদ্য ছবি বানানো ধরেছেন।

শ্রীজাত বলেন, এখন রাজনীতি মানেই মানুষ দলীয় রাজনীতির কথা ভাবে। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগতভাবে তেমন রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। কোনো দলে যোগ না দিয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। নিজের কবিতার মাধ্যমে সমাজকে কিছু বার্তা দিতে চান শ্রীজাত, তাঁর কাছে সেটাই রাজনীতি।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে অবশ্য কার্পণ্য করেননি শ্রীজাত। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে না চিনলেও তিনি শিল্প এবং শিল্পীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, একথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি শ্রীজাত। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, এ রাজ্য বা দেশে কখনো তাঁকে বাকস্বাধীনতার অভাবে ভুগতে হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ট্রোলিং হয় ঠিকই, তবে অন্য অনেক জায়গার থেকে ভারত এবং পশ্চিমবঙ্গে বাকস্বাধীনতা বেশি রয়েছে বলে মনে করেন শ্রীজাত।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর