বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো চর্চায় কবীর সুমন (kabir suman)। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিককে অশ্লীল কটুক্তি করার অভিযোগে প্রবীণ সঙ্গীত শিল্পীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে নেটিজেনরা সহ শিল্পী মহল। সুমনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কবি শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ও (srijato bandopadhyay)। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড়সড় বার্তা দিয়ে কটাক্ষ হেনেছেন তিনি।
কবীর সুমন একজন খ্যাতনামা শিল্পী, সেই প্রসঙ্গ টেনেই অভিযোগের তীর শনিয়েছেন শ্রীজাত। তিনি লিখেছেন, ‘শিল্প করলেই সকলের মাথা কিনে নেওয়া যায় না, এই শিক্ষা আমরা কোনওদিন পাইনি। শিল্পী হলেই যে-কারওর বাবা-মা তুলে চূড়ান্ত কুৎসিত কথা অবলীলায় উগরে দেওয়া যায় না, এই বোধও আমাদের কখনও হয়নি।
আমরা মানে, নেহাতই এই বঙ্গদেশবাসী। বাকি দুনিয়ায় শিল্পীদের জন্য কিছু ছাড় থাকলেও, তাঁদের শত অন্যায়কে শিল্পের দোহাই দিয়ে অদেখা করার অলিখিত চুক্তি নেই। পশ্চিমে তো প্রশ্নই ওঠে না। সোজা ঘাড় ধরে কাঠগড়ায় তুলে দেবে, বাকি কথা তারপর। সে তুমি যত বড় শিল্পস্রষ্টাই হও, নিয়ম তোমার জন্যেও একই।’
শ্রীজাতর কটাক্ষ, ‘আমাদের শিল্পীরা চাইলে এমন সমস্ত কিছু খুল্লমখুল্লা করতে পারেন, অন্য যে কেউ যা করলে চূড়ান্ত শাস্তি পেত। আর আমরাই চাইতাম সেই শাস্তি দিতে। কিন্তু শিল্পী আমাদের উদ্ধার করেছেন বলে আমরা মেনে নিয়েছি। তিনি অপাপবিদ্ধ। তিনি ঋষি। ঋষিদের একটু আধটু ওরকম হয়।’
দীর্ঘ পোস্টের শেষে সরাসরি কবীর সুমনের নাম উল্লেখ করে ‘ব্যঙ্গ’ করেছেন শ্রীজাত। লিখেছেন, ‘মনে আছে, কবীর সুমন নিজের একখানা গানে লিখেছিলেন, ‘বিরোধীকে বলতে দাও, বিরোধীকে বলতে দাও, তোমার ভুলের ফর্দ দিক’। বাঙালি বোধহয় শুনেও এসব গানের অর্থ উপলব্ধি করতে পারেনি। পারলে আজ তার এই হাঁড়ির হাল হতো না। আরেকটি গানের প্রথম লাইন মনে পড়ে যাচ্ছে, এর উত্তর হিসেবে। ‘তুমি গান গাইলে, বিশেষ কিছুই হলো না, যা ছিল আগের মতো রয়ে গেল’। বিস্ময়কর ভাবে, এ-গানও সুমনেরই রচনা। কী মিষ্টি সমাপতন, না?’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এক বেসরকারি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকের সঙ্গে টেলিফোনিক কথোপকথনে শোনা গিয়েছে এক পুরুষ কণ্ঠস্বর, যা কবীর সুমনের বলেই অভিযোগ উঠছে।
সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, আরএসএস ইচ্ছাকৃত ভাবে পদ্মশ্রী সম্মান দিয়ে গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে। যদিও পরে ফেসবুক পোস্টে সুমন স্বীকার করেছেন যে ওই কণ্ঠস্বর তাঁরই ছিল এবং তিনি যা করেছেন, তা দরকার পড়লে আবারো করবেন।