বাংলা হান্ট ডেস্ক : সদ্য বাংলাদেশি সমাজকর্মী বিবাহ করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই মিথিলার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক। বিয়ের পরেই মধুচন্দ্রিমার জন্য উড়ে গিয়েছিলেন বিদেশে। তবে বিয়ে সেরে প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে একেবারে মন প্রাণ ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন পরিচালক সৃজিত। শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের বেশ ভালই হয়েছিল তার জন্য ফেসবুকে ছবিও পোস্ট করেছিলেন পরিচালক। আর তাতেই কাল হল।
যেহেতু শ্বশুরবাড়ি বাংলাদেশে তাই অন্যান্য পদের মতো ছিল গো মাংস। তাই তো ফেসবুকে শ্বশুরবাড়ির খাবার দাবারের ছবি পোস্ট করতেই নেটিজেনদের কবলে পড়তে হলেও পরিচালককে। হিন্দু ধর্মের মানুষ হয়েও কেন তিনি গোমাংস খেলেন?প্রশ্ন তুলতে শুরু করে এটি জনেরা যদিও সেই সব প্রশ্নের যথোপযুক্ত উত্তরও দিয়েছেন তিনি। তাই জবাব দিয়ে তিনি লিখেছেন ভদ্রভাবে বোঝালাম নয় তো মনে রাখবেন বাইশে শ্রাবণের সংলাপ কিন্তু আমার লেখা।
অর্থাত্ বোঝাই যাচ্ছে সিনেমার পরিচালক বলে জবাবটা শেষ সিনেমার মতো করেই দিলেন।এমনিতেই মিথিলা ও সৃজিতের বিয়ে নিয়ে কম জল্পনা ছড়ায় নি। বাংলাদেশিকে বিবাহ করার জন্য তাঁকে কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছিল। এমনকি সৃজিত ও মিথিলার বিয়ে নিয়ে কলম তুলে ধরেছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
জানা গিয়েছে প্রথমবার ঢাকাতে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সৃজিতকে একেবারে সাকার সাজিয়ে খেতে দিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা। দুপুরে খাবারের পাতে ছিল সাদা ভাত, তার সঙ্গে ঝিরিঝিরি আলুভাজা লোটা শুঁটকি ডাল কড়াইশুঁটি দিয়ে পাবদা মাছ মুরগির ঝোল আর বাঁধাকপি দিয়ে গোমাংস। যদিও মেনুটি বেশ সুস্বাদু বলেই মনে হচ্ছে তবে গোমাংস নিয়ে কিন্তু যত বিতর্কের সূত্রপাত।
এমনিতেই ভারতে কম কেলোর কীর্তি হয়নি এই গো মাংস খাওয়া এবং গোহত্যা নিয়ে তার উপরে আবার ভারতীয় হয়ে সৃজিত মুখার্জির কীভাবে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে গোমাংস খেলেন? এক ব্যক্তি লেখেন, হিন্দু নামে কলঙ্ক আপনি আপনাকে খুব সম্মান করতাম কিন্তু এই পোস্ট পড়ার পর থেকে আপনাকে এখন খুব ঘৃণা করি আপনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করুন।