বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাঁসখালি ধর্ষণ (Hanskhali Rape) ও খুন কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে সর্বত্র। ১৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণের পর দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ধিক্কার দিচ্ছে বিরোধী দল থেকে রাজ্যের মানুষ। সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে মানুষ বাক্যহারা।
বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গন উদ্বোধনে হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখ। তাহলে অভিযোগ ১০ তারিখে দায়ের করা হল কেন? দেহই বা পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন? মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি সবটা না জেনেই বলছেন, আসলে ধর্ষণ হয়েছে নাকি অন্তঃসত্ত্বা ছিল, নাকি অন্য কোনো কারণ, শরীর খারাপ ছিল কিনা। লভ অ্যাফেয়ার্স তো ছিলই, বাড়ির লোকেরা জানত, পাড়ার লোকেরাও জানত।
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এমন কথা কীভাবে বলতে পারতেন তাই নিয়ে চলছে কাঁটাছেঁড়া। অদ্ভূত ভাবে এবারেও বাংলার বুদ্ধিজীবী মহল নিশ্চুপ। কিন্তু ব্যতিক্রমী হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee)। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলেছেন সেটা অত্যন্ত অসংবেদনশীল এবং আপত্তিকর। ফেসবুকে সৃজিত লিখেছেন, তিনি কার্যত ‘বাকরুদ্ধ’।
বুদ্ধিজীবীরা অদ্ভূত ভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। অভিনেত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি পালটা বলেন, একটু পরে ফোন করবেন। তবে তারপর এক ঘন্টা পর্যন্ত আর ফোন তোলেননি অভিনেত্রী বিধায়ক।
প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার তথা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তিনি কলকাতার বাইরে। তাই মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন সেটা তিনি জানেন না। কিছুটা একই রকম বক্তব্য গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তীর। তিনি প্রশ্ন করলেন, “এটা কোন কেস?”
কবি সুবোধ সরকার অবশ্য স্পষ্টই বলে দিয়েছেন, বিষয়টা ভাল জানেন না তিনি। তাই কোনো প্রতিক্রিয়া দেবেন না। শিল্পী শুভাপ্রসন্নর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্বশীল। ভূভারতে তাঁর মতো শাসক নেই। হাঁসখালির ঘটনা সম্পর্কে বলতে পারি, এটা জঘন্যতম একটা ঘটনা। প্রেম বা অ্যাফেয়ার্স থাকলে আমি কাউকে ধর্ষণ করে খুন করতে পারি না। অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”