‘পায়ে পড়ে কেঁদেছিলাম’, বিচ্ছেদের এত বছর পর আসল কারণ ফাঁস করলেন সৃজিত-স্বস্তিকা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : টলিপাড়ার যতগুলি চর্চিত জুটি রয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম সৃজিত-স্বস্তিকা (Srijit-Swastika) জুটি। একজন ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালক আর অপরজন চর্চিত অভিনেত্রী। তাঁদের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে চর্চা যে হটকেক হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর কার্যক্ষেত্রে হয়েছিল তেমনটাই। সৃজিত-স্বস্তিকার (Srijit-Swastika) চর্চিত প্রেম একসময় ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ঝড় তুলেছিল। বিষয়টা নিয়ে দুজনের কেউই কখনো প্রকাশ্যে কথা বলেননি ঠিকই, কিন্তু তা কারোর অজানাও ছিল না।

সম্পর্কের বিষয়ে অকপট সৃজিত-স্বস্তিকা (Srijit-Swastika)

সৃজিত-স্বস্তিকার (Srijit-Swastika) সম্পর্ক যেমন চর্চায় ছিল, তেমনি তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু ঠিক কী কারণে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা তার স্পষ্ট কারণ কখনোই জানা যায়নি। অবশেষে তাঁদের আগামী ছবি ‘টেক্কা’র প্রচারে এসে এ বিষয়ে মুখ খুললেন সৃজিত-স্বস্তিকা (Srijit-Swastika)। কেন হয়েছিল তাঁদের বিচ্ছেদ, কী কারণে ভেঙে গিয়েছিল সম্পর্ক সবটা নিয়ে প্রকাশ্যেই কথা বলতে শোনা গেল সৃজিত-স্বস্তিকাকে (Srijit-Swastika)।

আরো পড়ুন : ‘রান্নাঘর হচ্ছে আর আমিই নেই’, কনীনিকা সঞ্চালক শুনে এ কী বললেন সুদীপা!

কেন হয়েছিল তাঁদের বিচ্ছেদ

এদিন স্বস্তিকা (Srijit-Swastika) বলেন, ওই প্রেমটা যেটা সমাজ স্বীকৃত প্রেম, সেটা যখন ছিল তখন তিনি সৃজিতের পায়ে ধরে বলেছিলেন তাঁকে ‘রাজকাহিনী’তে কাজ দিতে। কিন্তু পরিচালক রাজি হয়নি। দুজনের মধ্যে নাকি এ নিয়ে তুমুল অশান্তি হয়েছিল। স্বস্তিকা জানান, ১০ টা কারণের মধ্যে এটা অন্যতম কারণ ছিল তাঁদের বিচ্ছেদের। কান্নাকাটি করে, সৃজিতের পায়ে ধরেও নাকি কোনো লাভ হয়নি বলে জানান স্বস্তিকা।

আরো পড়ুন : উত্তম প্রয়াণেই কাটে তাল, শেষ জীবনে বাড়ি ছেড়ে কোথায় থাকতেন সুচিত্রা সেন!

সৃজিতকে নিয়ে স্পষ্ট কথা স্বস্তিকার

পরিচালকের ব্যাপারে স্বস্তিকা বলেন, সম্পর্কের খাতিরে কাউকে নিজের ছবিতে নেন না সৃজিত। তাঁর যদি কাউকে নেওয়ার থাকে তাঁকে তিনি নেবেনই। স্বস্তিকা বলেন, তিনি যেমন ‘টেক্কা’তে কাজ করতে চাননি, কিন্তু সৃজিত তাঁকে জোর করে রাজি করিয়েছেন।

নিজের সম্পর্কগুলির বিষয়ে মুখ খোলেন সৃজিতও। এদিন অকপটে স্বীকার করেন পরিচালক, অনেক প্রেম হয়েছে তাঁর। তবে তিনি প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, তাঁর পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবন আলাদা। তাই কেউ যদি ভেবে থাকেন যে তাঁর সঙ্গে প্রেম করলে বা তাঁর বন্ধু হলেই তাঁর ছবিতে কাজ পাওয়া যাবে তাহলে তা সম্পূর্ণ ভুল।