বাংলাহান্ট ডেস্ক: রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নাটকীয়তা এখনো তুঙ্গে। তার মধ্যেই দলের অভ্যন্তরে অশান্তির আঁচ। বেসুরো ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো (Srikanto Mahato)। তৃণমূলেরই মহিলা তারকা সদস্য মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), নুসরত জাহান (Nusrat Jahan), সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee), সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh), জুন মালিয়াদের (June Maliya) দিকে নিশানা করলেন তিনি। প্রকাশ্যেই এই তারকা সদস্যদের সম্পর্কে বিষ্ফোরক মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন শ্রীকান্ত মাহাতো।
মিমি-নুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বোঝাতে চেয়েও লাভ হয়নি। প্রকাশ্য সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে এমনি বিষ্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে শালবনির তৃণমূল বিধায়ক তথা ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে।
একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতরা লুটোপুটে খাচ্ছে। এরা দলের সম্পদ হলে দল করা যাবে না। অভিষেক, সুব্রত বক্সিদের বোঝাতে চেয়েছিলাম। ওঁরা বুঝতে চাননি। দল চোর ডাকাতদের কথা শুনছে। ওই ক্যাবিনেটে সবাই চোর, লোকে বলছে তো।”
একেই পার্থ অর্পিতা কাণ্ড, গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়ে চাপের মুখে সবুজ শিবির। উপরন্তু দলেরই মন্ত্রীর এহেন দলবিরোধী মন্তব্যে আরো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই শোকজ নোটিস ধরানো হয় শ্রীকান্ত মাহাতোকে।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, লিখিত ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন প্রতিমন্ত্রী। অসতর্ক মুহূর্তে আবেগের বশে কথাগুলো বলে ফেলেছিলেন বলেও নাকি জানিয়েছেন শ্রীকান্ত মাহাতো। এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে কারোর কিছু বলার থাকতেই পারে। নেতৃত্ব সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। তাই এ বিষয়ে নেতৃত্বকেই বলা উচিত। এমন মন্তব্যে দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ে। বিজেপি অবশ্য কটাক্ষ করেছে, সত্যি কথাটা বলার জন্য শ্রীকান্ত মাহাতোর বিপদ বাড়তে পারে।