বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহু আগেই মানুষের মন জয় করেছিলেন তিনি। ছোটো পর্দার ঝিলিক চরিত্রের মধ্যে দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার ঘরের মেয়ে। অভিনয় জগতের পর এবার জয় এল রাজনীতির ময়দানেও। প্রথমবার প্রার্থী হয়েই জয় পেলেন শ্রীতমা ভট্টাচার্য। কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পুরভোটে লড়েছিলেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আগেই তৃণমূলে যোগ দেন টেলিভিশনের অতি জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য। একুশের বিধানসভার যুদ্ধে অবশ্য সরাসরি লড়তে নামেননি তিনি। প্রচার সেরেছিলেন দলীয় প্রার্থীদের হয়ে। বাইশের পুরসভায় কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। আর প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয় এল শ্রীতমার ঝুলিতে।
জেতার পর অবশ্য জয়ের সমস্ত কৃতিত্বই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকেই দিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, মদন মিত্রের পুত্রবধূ মেঘনা মিত্রও এবার লড়েছিলেন পুরভোটে। জয়ী হয়েছেন তিনিও। মেঘনার মতই শ্রীতমার পাশেও সবসময় থেকেছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। শ্রীতমার হয়ে একাধিকবার প্রচারও সেরেছেন তিনি। একই সঙ্গে নিজের জয়ের কৃতিত্ব বাবাকে দিতে ভোলেননি শ্রীতমা। বাবা মাথার উপর না থাকলে কিছুই হত না, এমনিটাই দাবি তাঁর।
ভোটে জেতার পরই এলাকার উন্নয়নের কাজে মন দিতে চান বলে জানিয়েছেন শ্রীতমা। তিনি বলেন এলাকায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। অবিলম্বে সেগুলির সমাধান করতে হবে বলেই জানিয়েছেন নব নির্বাচিত কাউন্সিলর। অভিনেত্রী হিসেবে ঠিক যেমন মানুষের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন, কাউন্সিলর হিসেবেও সেভাবেই মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যেতে চান শ্রীতমা।