২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলায় এই তথ্য পেশ করতে চলেছে SSC, নিয়োগ দুর্নীতিতে বিরাট মোড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পিছিয়ে গেল SSC ২৬০০০ চাকরিহারা মামলার শুনানি (SSC Recruitment Scam)। গত সোমবার শুনানির পর এদিন সর্বোচ্চ আদালতে ফের এই মামলা ওঠার কথা ছিল। তবে সোমবার SSC-র মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় এই মামলার শুনানি বলে খবর।

গত ২২ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জেরে SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট ( Calcutta High Court)। এক ধাক্কায়
যোগ্য-অযোগ্য মিলিয়ে চাকরি হারিয়েছেন ২৫৭৫৩ জন। হাইকোর্টের রায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মামলা দায়ের করে এসএসসি, রাজ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত সোমবারের পর আজ সেই মামলার শুনানির কথা ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এদিন তা পিছিয়ে গেল।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন চাকরিহারারা। যোগ্যদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে? এই প্রশ্নই এখন তাদের মনে। তবে এরই মধ্যে পিছিয়ে গেল SSC মামলার শুনানি। সর্বোচ্চ আদালত সূত্রে খবর, আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র এই তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলা শুনবে।

আগেই এসএসসি জানিয়েছিল তারা যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দিতে প্রস্তুত। তবে জানা যাচ্ছে আপাতত সুপ্রিম কোর্টে শুধুমাত্র পরিসংখ্যান পেশ করতে চলেছে SSC। আগামী শুনানিতে সংখ্যাতত্ত্ব দিয়ে যোগ্য-অযোগ্যদের ফারাক বোঝানোর চেষ্টা করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট চাইলে পরে তালিকা পেশ করবে তারা। প্রসঙ্গত, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শিক্ষাকর্মী, সকলেই সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে। কারণ তাদের ভাগ্য ফেরাতে পারে একমাত্র সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘মমতা আর অভিষেকের বাপের…’, ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

গত সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একপ্রস্থ শুনানি চলে। এর আগে দিন শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, ‘‘প্যানেলের বাইরে নিয়োগ করা হয়েছে। এটা তো সম্পূর্ন জালিয়াতি। ‘‘বেআইনি ভাবে নিয়োগ হয়েছে, এই অভিযোগ থাকারই পরেও কী ভাবে সুপার নিউমেরিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা? কেন সুপার নিউমেরিক পোস্ট (বাড়তি পদ) তৈরি করা হল?’’ প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি গত সোমবার এই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও অফিসারদের সাময়িক স্বস্তি দিয়েছিল।

Supreme Court

মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল, সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম নির্দেশ ছিল, এই ঘটনার সূত্রে রাজ্য সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে পর্যন্ত কোনও তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। ৬ মে পর্যন্ত সেই স্থগিতদেশ ছিল। যদিও এছাড়া হাইকোর্টের দেওয়া কোনও রায়ের ওপর স্থগিতদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এবার আগামীকাল এসএসসির দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট কোন পথে হাঁটতে চলছে সেই দিকেই নজর থাকবে সকলের।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর