বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝুলে রয়েছে ২৬০০০ মানুষের ভাগ্য (SSC Recruitment Scam)। এর আগে সময়ের অভাবে বারেবারে পিছিয়ে গেছে শুনানি। গত শুনানিতেও তাই হয়েছে। সাত তারিখ এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠার কথা ছিল। তবে এবারেও তা হয়নি। ফলত এখনও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ঝুলে রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হজার চাকরি বাতিল মামলা। যার জেরে বাড়ছে অপেক্ষা।
সুপ্রিম কোর্ট তরফে জানানো হয়েছে এসএসসি ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি। তার আগে
মামলার সাথে জড়িত সবপক্ষকেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। গত শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছিল এসএসসি মামলা। তবে মামলাটি মুলতবি হয়ে যায়।
আগামী মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে মামলাটি উঠবে। এর আগের শুনানিতে বিচারপতিরা বলেন, ‘আমরা আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনেছি। এবার অন্যপক্ষদের বলতে দিতে হবে। পরের সোমবার দুপুরের পরে তা শোনা যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: কলকাতায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহ! কতদিন ব্যাহত হবে পরিষেবা? জানালেন মেয়র
তবে আগামী সোমবার শীর্ষ আদালত বন্ধ থাকবে বলে মঙ্গলবারের দিনটি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বিচারপতিরা স্পষ্ট জানান, ‘এই মামলা খুব বেশি পিছনো যাবে না।’ তবে শুনানি পিছিয়ে গেলেও গত মঙ্গলবারই সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।
কলকাতা হাইকোর্টের রায়
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের এই রায় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্যে। উচ্চ আদালতের রায়ে এক ধাক্কায় চাকরি যায় প্রায় ২৬০০০ জনের।
আরও পড়ুন: ‘DA মামলার শুনানি কখনই হবে না..,’ রাজ্য সরকারকে সুরক্ষা দিতে কি করা হচ্ছে? বিস্ফোরক পোস্ট
হাইকোর্টের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠলে আপাতত সকলেরই চাকরি বহাল রাখা হয়েছে। সকলকে রক্ষাকবচ দিয়েছে আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দুর্নীতি প্রমাণ হলে শিক্ষকদের (ssc recruitment scam) চাকরি তো যাবেই পাশাপাশি ফেরত দিতে হবে বেতনও। এর জেরে আপাতত ২৬০০০ চাকরির ভাগ্য ঝুলে রয়েছে। এই মামলার রায়ের উপর নির্ভর করে রয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরির ভবিষ্যৎ।