বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একজোটে যেতে চলেছে ৬১৮ জনের চাকরি। হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চের (Division Bench) রায়ের পরেই ৬১৮ জনের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিল করল এসএসসি (SSC)। বাতিল যাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের নাম নাম, রোল নম্বর এবং বিভাগও ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকবে। তারা কোনোভাবেই এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না। সিঙ্গেল বেঞ্চ ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল করলেও তার মধ্যে আপাতত ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিল করেছে এসএসসি।
আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরেই শিক্ষকদের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কমিশন। বুধবার রাতেই তড়িঘড়ি এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রথম ধাপে ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরফলে ওই শিক্ষকদের চাকরি যে যাবেই তা এখন নিশ্চিত।
সম্প্রতি প্রকাশ করা সুপারিশপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তিতে ওই শিক্ষকদের নাম, রোল নম্বর এবং বিভাগও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি জানানো হয়েছে, ওই ৬১৮ জন বাদে বাকি ১৮৭ শিক্ষকের ওএমআর শিটগুলি আরও এক বার খুঁটিয়ে দেখছে এসএসসি। খুব শীঘ্রই তাদের সুপারিশপত্র বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল। প্রথমে এই মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে উঠলেও পরে তা হস্তান্তর হয়ে পৌঁছায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি বসু নির্দেশ দিয়েছিলেন অবিলম্বে ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের বরখাস্ত করার নির্দেশও দেন এসএসসিকে।
এরপর ওই শিক্ষকদের অনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশনও। তবে বিচারপতি বসুর নির্দেশকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওই প্রার্থীদের দাবি ছিল, সিবিআই এর উদ্ধার করা উত্তরপত্র আসল কি না, সেবিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে, বুধবার এই মামলারই রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায় চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত।