বেআইনি শিক্ষক নিয়োগে কত টাকার আর্থিক লেনদেন? FIR দায়ের করে খুঁজতে তৎপর হল ইডি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষক (Teacher) নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে জেরবার হচ্ছে রাজ্য সরকার। শিক্ষক এবং অশিক্ষককর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে। তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর নাম জড়ানোকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শাসক দলের অন্দরেই। এবার বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আরও বেশ খানিকটা চাপে পড়ল শাসকদল। ইতিমধ্যেই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। চাকরির বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই কোন কোন ক্ষেত্রে আর্থিক যোগ রয়েছে সেই বিষয়টি নিয়েই পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে নামলেন ইডি-র আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে ববিতা সরকার মামলায় জয়ী হতেই অন্যান্য মামলাকারীরাও একের পর এক আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তার ভিত্তিতেই এবার কোনও তথ্যপ্রমাণ ববিতা-সহ অন্যান্য মামলাকারীর কাছে আছে কি না তা জানার জন্যই আসরে নামছেন ইডির আধিকারিকরা। আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রেই মেধাতালিকা পরীক্ষা করে দেখা যায়, ২০০–র মধ্যে থাকা প্রার্থী চাকরি পাননি, অথচ চাকরি পেয়েছেন মেধাতালিকার ২৭৫ নম্বরে থাকা স্থানাধিকারী। তাই, আপাতত স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি এফআইআর দায়ের করেছে ইডি।

ssc 2

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার হাতে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এমনকী সিবিআই দপ্তরে ডাক পড়েছিল নেতা মন্ত্রীদের। এ বার তার সঙ্গে ইডির দায়িত্বভার গ্রহণ নিঃসন্দেহে তদন্তের স্বার্থে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর